ইসরায়েলের আদালতে মানসিক ভারসাম্যহীন ফিলিস্তিনি বন্দী আহমাদ মানসারার নির্জন কারাবাসের মেয়াদ বাড়ানোর রায় প্রদান করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচিত এই মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরকে ২০১৫ সালে আটক করেছিলো দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
মঙ্গলবার বিয়ার শেভা জেলা আদালতে ২১ বছর বয়সী যুবকের রায়ের ব্যাপারে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে কর্তৃপক্ষ তার নির্জন কারাবাসে আরও ছয় মাস বাড়ানোর রায় দিয়েছে। যদিও তার নির্জন কারাবাসের মেয়াদ মে মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
বর্ধিত এই রায়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হলো, আহমেদ মানসরা নভেম্বর পর্যন্ত একাকী থাকবেন। পুরো সময়টা তিনি একটি বিচ্ছিন্ন কক্ষে অতিবাহিত করবেন। একইসাথে অন্যান্য ফিলিস্তিনি বন্দীদের সাথে স্বাভাবিক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন।
মানসরার চাচা আল জাজিরাকে বলেন, “এটি ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার নমুনা মাত্র। এখানে যা ঘটছে তা মানবিকতার সবচেয়ে জঘন্য চিত্র। তাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা মানে তার মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা আরও খারাপ করে তোলা।
উল্লেখ্য, মাত্র ১৩ বছর বয়সে আহমেদ মানসারাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং ২০১৫ সালে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে, অদ্ভুত বিষয়, আদালত স্বীকার করেছে যে মানসরা কোনো হামলায় অংশ নেয়নি কিন্তু তারপরও তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। মূলত এরপর থেকে মানসরার মামলা বিশ্বব্যাপী শিরোনাম হয়েছে।
এরপর ২০১৬ সালে এই মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, পরে তা কমিয়ে নয় বছর করা হয়েছিল।
২০২০ সালের শেষ দিক থেকে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির লক্ষণ দেখা যায়। আর ২০২১ সাল থেকে তাকে একাকী রাখা হয়েছে।