২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মানুষের প্রতি এই সরকারের কোনও ভালোবাসা নেই। কালকে একটা বাজেট দিয়ে দিয়েছে। কোন বাজেট-কাদের বাজেট।
বাজেট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বাজেটে কাদেরকে সাহায্য করেছে ? যারা টাকা চুরি, ডাকাতি, লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করলো, তারা এখন মাত্র ৭ শতাংশ ট্যাক্স দিলে টাকা ফেরত আনতে পারবে। কেউ এই নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবে না। দুদক ধরবে না, হাইকোর্ট থেকেও তাদেরকে কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না। যারা এই বাজেট দিয়েছে, তারা কি এই সাধারণ মানুষের সরকার? এরা চোর, ডাকাত, লুটেরাদের সরকার।
শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে।
জনপ্রশাসন খাতে বেশি বরাদ্ধ রাখার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বাজেটে দেখবেন, সবচেয়ে বেশি বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে জনপ্রশাসন খাতে। জনপ্রশাসন কি? পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, ডিসি, ইউএনও। তাদের বেতন বাড়চ্ছেন, সুযোগ সুবিধা বাড়াচ্ছেন। জনগণের পকেট কেটে তাদেরকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।
এই সরকার অনির্বাচিত সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের বাজেট দেওয়ার কোনও এখতিয়ার তাদের নেই। তাদের গত ১৫ বছরের দুঃশাসনে তারা প্রমাণ করেছে, তারা বাংলাদেশের মানুষের শত্রু। এরা এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা তো বাজেটের অতোকিছু বুঝি না। সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখি কোনও জিনিসের দাম বাড়লো আর কোনও জিনিসের দাম কমলো। আজকে গ্যাসের দাম বেড়েছে, সারের কারখানার বাড়বে। অর্থাৎ যারা কৃষিকাজ করেন, তাদের সারের দাম তিনগুণ বাড়বে। আবার বলেছে- শিল্পকারখানায় যে গ্যাস ব্যবহার হয়, তার দামও বাড়বে। তাহলে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম এইভাবে বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা এতোটুকুও বৃদ্ধি পায়নি। আওয়ামী লীগ এতো বড়-বড় কথা বলে, মানুষের আয় বাড়বে, জিডিপি বাড়ছে, কারও উন্নয়ন হয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের পকেটে কেটে অর্থ নিয়ে লুট করে বিদেশে প্রচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।