নাটোরের গুরুদাসপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর মৃধার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, একটি মারামারির মামলায় নাম বাদ দেওয়ার শর্তে তিনি দাবি করেছেন ৫ লাখ টাকা। ভুক্তভোগীদের পক্ষে নাটোরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী ব্যবসায়ী রাসেল হোসাইন। তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সেখানে নিজের ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় এলাকায় দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে তার।
গত ১৬ মে চাঁচকৈড় বাজারে একটি মারামারির ঘটনায় স্থানীয় ইটভাটা ব্যবসায়ী ফরিদ মোল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রাসেল হোসাইনকে প্রধান আসামি করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই আবু জাফর মৃধা।
এরপর রাসেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার গোলাম রাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই এসআই। মামলার আসামির তালিকা থেকে রাসেলের নাম বাদ দিতে হলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে—এমন দাবিও নাকি তোলেন তিনি।
এমন অভিযোগে থানায় ও এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। যদিও অভিযুক্ত এসআই আবু জাফর মৃধা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগী প্রবাসী রাসেল হোসাইন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্ত পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার ক্যামেরার সামনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনাটি পুলিশের দায়িত্বশীলতার প্রশ্ন তোলে। যেখানে আইন রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের, সেখানে ঘুষ দাবি করে কারও হয়রানি করলে সেটি শুধু অনৈতিকই নয়—গভীর উদ্বেগজনকও। ভুক্তভোগীরা এখন প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত ও ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করছেন।