বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও চার দফা দাবিতে ঢাকা- কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে একদল শিক্ষার্থী৷
মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে একটি মশাল মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মশাল মিছিলে শিক্ষার্থীদের হাতে দড়ি বেধে অভিনব প্রতিবাদ করতে দেখা যায়৷ পরে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রায় একঘন্টার মত অবরোধ করে রাখেন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা জেল-জুলুম হুলিয়া; নিতে হবে তুলিয়া, আমার ভাই আসামী কেন; প্রশাসন জবাব দে, স্বৈরাচারের ঠিকানা; এই ক্যাম্পাসে হবে না সহ বেশ কিছু স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, চার দফা দাবিসহ শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য তারা বারবার দাবি জানিয়ে আসছে। তবে প্রশাসন এ বিষয়ে নির্বিকার থাকায় শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে নামতে বাধ্য হয়েছে বলে জানান।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রায় দেড় ঘন্টা আটকে রাখলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কেউ শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করেনি।
তবে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে আসলে শিক্ষার্থীরা তাদের সাথে কোনো আলোচনায় যায়নি। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সাথে বারবার আলোচনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ববি শাখার আহবায়ক রাকিব আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের সর্বসম্মতিক্রমে চলমান গত একসপ্তাহের চারদফা আন্দোলনকে দমনের জন্য ফ্যাসিস্ট আমলের ন্যায় জিডি, হামলা-মামলা করে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অবৈধ ভাবে সাধারন শিক্ষার্থীদের নামে মামলা দিচ্ছেন।
এমনকি যারা যৌক্তিক এসব আন্দোলনে আসেনি, তাদের নামও সংযুক্ত করে দিচ্ছেন। এভাবে মামলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারকে হুমকির মুখে ফেলা এবং স্বৈরাচার আমলের যে প্র্যাক্টিস নিয়ে আসছে তার বিরুদ্ধে আজকের এই মশাল মিছিল ও সড়ক অবরোধ।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, আপনি (উপাচার্য) এসির বাতাস খাচ্ছেন। আমরা সংকটে ভুগিতেছি। আপনাকে তো পাওয়া যায় না? আপনি মাসের পর মাস ঢাকায় থাকেন। সরকার কি লক্ষ লক্ষ টাকা দেয় পরিবারের সাথে কাটাতে? বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস জানুন। ফ্যাসিবাদের বিরূদ্ধে শিক্ষার্থীরা কোনো আপোস করেনি। ভবিষ্যতেও করবে না। মামলার ভয় দেখিয়ে আমাদের লাভ নাই। আমাদের দাবি মেনে নিন।