মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের বিরুদ্ধে দেশটির পণ্যে নতুন করে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীন। যা ১২ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হবে। সর্বশেষ আরোপিত শুল্ক ছিল ৮৪ শতাংশ। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীনা পণ্যে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়ায় প্রতিশোধমূলক যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়েছে বেইজিং। এতে দুই দেশের বাণিজ্য অস্থিরতা আরও প্রকট হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। যার ধাক্কা এশিয়ার শেয়ারবাজারে পড়বে বলে মত তাদের। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্রমাগত শুল্ক বৃদ্ধিকে ‘গুন্ডামি’ বলে অবিহত করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর বিরোধিতা করে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নকে বেইজিংয়ের সঙ্গে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, শুল্ক যুদ্ধে কেউই জয়ী হয় না।
এদিকে ট্রাম্প চীনের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্য চুক্তি করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, শেষ পর্যন্ত এমন কিছুর সমাধান হবে যা উভয় দেশের জন্যই মঙ্গলজনক।
ইউরো নিউজ ডট এর এক খবরে বলা হয়েছে, নতুন করে মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপ দেশটির পাল্টা শুল্ক আরোপের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। তবে বেইজিং জানিয়েছে শুল্কের পরিমাণ আর বাড়ানো হবে না। এক বিবৃতিতে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে শুল্ক দিতাম তাহলে এর পরিমাণ হতো ১৪৫ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি উচ্চ শুল্ক আরোপ অব্যাহত রাখে তাহলে এটা আর অর্থনৈতিক ধারা বজায় রাখবে না, এটা বিশ্ব অর্থনীতির ইতিহাসে একটি রসিকতা হয়ে উঠবে।