যুক্তরাষ্ট্র দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল। নীতির অধীনে ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী’ ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না বলে ঘোষণা দেয়। এবার পাকিস্তানের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে একই প্রসঙ্গ নিয়ে কথা উঠেছে। এ সময় কথা প্রসঙ্গে বাংলাদেশকে টেনে উদাহরণ দেওয়া হয়।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেলকে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করছে’ এমন ব্যক্তিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে।
কিন্তু পাকিস্তানের প্রসঙ্গ এলে, আপনি ওই একই ঘোষণা দেননি। দুই দেশের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এত পার্থক্য কেন?
জবাবে মি. প্যাটেল বিস্তারিত না বলে জানিয়ে দেন, আমরা বিশ্বাস করি না যে, কোনও পার্থক্য আছে। আমরা শুধু প্রিভিউ দেখবো না।
সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন, তাহলে যদি এমন কেউ থাকে যারা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে? জবাবে প্যাটেল বলেন, প্রতিটি দেশ আলাদা। তবুও আবার বলছি, আমরা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। অবশ্যই পাকিস্তানেও।
তিনি বলেন, যখন আমরা এমন কিছু দেখি, যা এই অঞ্চল সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে রয়েছে এবং পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের ঘোষিত অভিপ্রায়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ, তখন আমরা তাদের সমাধান করার বিষয়ে বলবো।