ইসরায়েলে ফের হামলা চালিয়েছে ইরান। মার্কিন হামলার পর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়।
কারমেল, হাইফা, তেল আবিব এলাকা এবং উত্তর উপকূলীয় সমভূমিসহ ১০ টি এলাকায় রোববার সকালে ইরান হামলা চালায় বলে নিশ্চিত করেছে তেল আবিবের জরুরি সেবা বিভাগের এক মুখপাত্র।
তিনি জানিয়েছে, ইরানের ছোড়া রকেট ও বোমার শার্পনেল (টুকরো) আঘাত হেনেছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১১ জন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি সেবা সংস্থার মাগেন ডেভিড আদম জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে একজনের শরীরে বোমার শার্পনেলের ক্ষত রয়েছে, আর বাকি ১০ জন সামান্য আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে, রোববার ভোরে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইস্পাহানে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এরপরই, ইসরায়েলে ফের হামলা চালায় তেহরান।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফ্রিস। তিনি অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে সম্ভাব্য বিপর্যয়কর যুদ্ধে জড়িয়ে দেয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছেন।
এক বিবৃতিতে জেফ্রিস বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশের জনগণকে তার অভিপ্রায় নিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন, সামরিক শক্তি ব্যবহারের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন নেননি এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন এক যুদ্ধে জড়ানোর ঝুঁকিতে ফেলেছেন যা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার পর ইসরায়েলি জনগণের উদ্দেশে হিব্রু ভাষায় এক ভিডিওবার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি জানান, এই মার্কিন সামরিক অভিযান সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৩ জুন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী যে অভিযান শুরু করেছিল, তা যুক্তরাষ্ট্র এখন সম্পর্ণ করে ফেলেছে। নেতানিয়াহু বলেন, “অভিযানের শুরুতেই আমি আপনাদের বলেছিলাম— ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস হবে, যেভাবেই হোক। আমি সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছি।”