আগামী কালের গণসমাবেশকে কেন্দ্র রাজশাহীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা দুই দিন আগে থেকেই আসতে শুরু করেছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বুধবার রাত থেকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা যে যার মতো সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন। সমাবেশের পাশে ঈদগাহ মাঠে শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছেন তারা। সমাবেশস্থলে ঢুকতে পুলিশের বাধা থাকায় পাশেই ঈদগাহ মাঠে নেতকর্মিরা অবস্থান নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন জেলে উপজেলা থেকে নেতা কর্মিরা মিছিল নিয়ে নগরীতে প্রবেশ করে। সিএনজি, অটোরিকশা, ট্রাক, পিকআপ ভাড়া করে, ট্রেনে করে, কেউ পাঁয়ে হেটে মিছিল নিয়ে রাতেই সমাবেশস্থলে পৌঁছেন।
রাজশাহীর ঈদগাহ মাঠে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা ত্রিপল বিছিয়ে ছাময়ানা টাঙ্গিয়ে শুয়ে রাত কাটিয়েছেন। এক পাশে চলছে রান্নার কাজ।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা থেকে গতকাল সমাবেশস্থলে এসেছেন ষাটোর্ধ তবিবুর রহমান।
তিনি জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সিএনজি, অটোরিকশা, পায়ে হেঁটে পুলিশের বাধা পেরিয়ে রাজশাহী আসতে সময় লেগেছে ১২ ঘন্টা। এখানে এসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সরকারে অনিয়মের প্রতিবাদ করতেই অনেক দূর থেকে কষ্ট করে গনসমাবেশে এসেছেন বলে জানান তিনি।
গতকাল গণসমাবেশস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদারসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে আসতে পথে পথে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেন।
মিজানুর রহমান মিনু সাংবাদিদের বলেন, শত বাধা সত্ত্বেও রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল হবে। সরকারের পেটুয়া বাহিনীর সদস্যরা গণসমাবেশ বানচাল করতে নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। বুধবার রাত থেকেই রাজশাহীর প্রবেশপথে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। যানবাহন থেকে নামিয়ে দিয়ে নেতাকর্মীদের নিদারুণ কষ্ট দিচ্ছে। নেতাকর্মীরা সব বাধা উপেক্ষা করে রাজশাহী শহরের প্রবেশ করছেন।
গণসমাবেশের জন্য মাদ্রাসা মাঠে ডেকোরেশেনের কাজ শুরু করলে তাঁবু ও ডেকোরেশনের উপকরণ ভেঙে ফেলা হয়। নেতাকর্মীদের মারপিট করে মাদরাসা মাঠ থেকে বের করে দেয় পুলিশ। তবে যতই বাধা দিক, কানায় কানায় ভরে যাবে পুরো শহর।
মিজানুর রহমান মিনু আরো বলেন, সমাবেশ স্থলে ঢুকতে না দেয়ায় এরই মধ্যে মাদ্রাসা মাঠ এলাকা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীতে ভরে গেছে। পাশেই কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তাঁবু টাঙ্গিয়ে রাত্রি যাপন করছেন। সেখানে রান্না খাওয়া দাওয়ার কাজ চলছে।
নেতাকর্মীরা ঠিক সময়ের মধ্যে মাদরাসা মাঠে প্রবেশ করবেন। নেতারাও সময়ের মধ্যে রাজশাহী এসে পৌঁছাবেন।