পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটি যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে কথিত স্ত্রীর ধর্ষণ মামলায় দুজন সাক্ষী দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল নবম দফায় এ সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কারাগারে নেওয়ার পথে মামুনুল হক অনুসারীদের বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। সত্য কখনো চাপা থাকে না, সত্যের জয় একদিন হবেই।
তিনি বলেন, আমার মুক্তির দরকার নাই, সত্যের মুক্তি দরকার। সত্যের মুক্তির জন্য তোমরা দোয়া করো। তোমরা হিজরত করবে আল্লাহর পথে। ইনশাআল্লাহ সত্যের জয় হবেই হবে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রকিব বলেন, মামুনুল হককে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আদালতে হাজির করা হয়। এরপর দুপুর ১টায় দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। সাক্ষী দিয়েছেন সোনারগাঁও থানার তৎকালীন এএসআই এজাজুল হক ও মামলার বাদীর বাড়িওয়ালা মোশারফ হোসেন। ধর্ষণের বিষয় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী দিয়েছেন সাক্ষীরা।
তিনি বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য অনুযায়ী মামুনুল হক ধর্ষণ করেছেন। এ পর্যন্ত এ মামলায় মোট ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
মামুনুল হকের আইনজীবী নয়ন বলেন, সাক্ষীদের জেরা করেছি। সাক্ষীদের কারো সঙ্গে জবানবন্দির কোন মিল নেই। ন্যায় বিচার হলে মামুনুল হক খালাস পাবেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য কারাগার থেকে মামুনুল হককে সকাল ৯টায় আদালতে আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে আদালত চত্বরে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।