জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি ও ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে শুক্রবার বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি ও ছয়টি প্রতিষ্ঠান নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরা সবাই জান্তাকে যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং আমদানি ও মজুত করতে সহায়তা করে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অবিরাম বিমান ও বোমা হামলা চালাতে সক্ষম করে তুলেছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা এবং সহিংসতা চালিয়ে আসছে। তারা উত্তোরত্তর জনবহুল এলাকাগুলোতে বিমান হামলা চালাচ্ছে। মধ্য বার্মার একটি গ্রামে বিমান হামলায় একটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে বিমান হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা নিজেদের জনগণের ওপরই দুর্ভোগ, যন্ত্রণা আপতিত করছে। বার্মার জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্র অটল।
‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নৃশংসতা চালানোর জন্য যেসব উপাদান ব্যবহার করে সেগুলো তাদের হাতে যাওয়া ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাবে’, বলে জানান মার্কিন এ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ১ ফেব্রুয়ারি সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের নেতৃত্বে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামরিক সরকার। এর পর থেকেই দেশটিতে বেসামরিক জনগণ ও সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলছে দ্বন্দ্ব-সংঘাত।
বিক্ষোভে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। গঠিত হয়েছে জান্তাবিরোধী সরকার এবং প্রতিরোধ বাহিনী।