চলতি সপ্তাহে নতুন করে আরো সাতজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এই নিয়ে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর হাতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ১৩৯ জন। জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
জাতিসংঘের অভিযোগ, জান্তা সরকার বিরোধীদের দমন করতে মৃত্যুদণ্ডকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে সর্বশেষ এই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে মন্তব্য করেনি দেশটির ক্ষমতাসীন সেনা সরকার।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখলে নেয় সামরিক জান্তা। দেশটির নবনির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের দিনই সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। এর পর থেকেই দেশটিতে সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা চলছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে জানান, গত বুধবার মিয়ানমারের সামরিক আদালত অন্তত সাতজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইয়াঙ্গুন-ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গত এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একটি ব্যাংকে গুলি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
দাগন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ওপর মৃত্যুদণ্ড আরোপ করা সামরিক বাহিনীর প্রতিশোধমূলক কাজ। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার চার তরুণ অ্যাক্টিভিস্টের মৃত্যুদণ্ডের খবরের তদন্ত জাতিসংঘ করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
স্থানীয় এক পর্যবেক্ষক সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিরোধীদের দমনে সামরিক জান্তার হাতে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ২৮০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। বন্দি অবস্থায় এখনও আছেন ১১ হাজার ৬৩৭ জন।