আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত নিরসনে চীন ভূমিকা রাখলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে নয়, মিয়ানমারের আরাকানে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ চলছে। এটা সীমান্তে চলে এসেছে। তবে গোলাগুলির কারণে ভয়ভীতি ছড়াচ্ছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়ানমার থেকে ১৪ জন সেনা সদস্য এসে বাংলাদেশের বান্দরবানে আশ্রয় নিয়েছে—এ ব্যাপারে কাদের বলেন, আরাকান আর্মিদের সঙ্গে তাদের যে ইন্টারনাল কনফ্লিক্ট, সেটার কিছু কিছু প্রতিক্রিয়া আমাদের এখানেও হয়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন উদ্যোগী হওয়ার পরও কেন বিলম্বিত হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যেভাবে বলার বলেছি। এসব সমস্যাগুলো আমাদের জন্য অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
চীন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা চাই তারা বন্ধুসুলভ থাকুক। এখানে ভূ-রাজনৈতিক কৌশলে চীন-ভারত, এখানে একটা তো আছে শক্তি বলয়। তারা একমতের দেশ নয়। চীনের একটা দৃষ্টিভঙ্গি আছে। ভারত ও চীনের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট আছে। ওটার মধ্যে আমরা নাক গলাতে চাই না। ওটা ভারত আর চীনের ব্যাপার।
তিনি বলেন, তারা তাদের কনফ্লিক্ট মীমাংসা করবে। আমরা আমাদের স্বার্থ নিয়ে বলবো। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা যেন তাদের ইন্টারনাল কনফ্লিক্টের শিকার না হই। আমাদের যেন কোনো ক্ষতি না হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন মিয়ানমারের আরাকান আর্মিদের সঙ্গে কনফ্লিক্টের জন্য আমরা ক্ষতিগ্রস্ত; কিছু কিছু ক্ষতি তো আমাদের হচ্ছে। কোনো কোনো সময় আমাদের আকাশসীমা তারা অতিক্রমও করছে—এমন রিপোর্টও আছে। সে বিষয়গুলো তাদের আরেকটু বেশি মনোযোগ দেওয়া, তাদের ইন্টারনাল কনফ্লিক্টের সঙ্গে; যেহেতু মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের একটা চমৎকার সম্পর্ক, সে জন্য চীন এখানে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে কি না এবং করলে আমরা উপকৃত হবো।
যুক্তরাষ্ট্র ইস্যুতে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। আমরাও তাদের সঙ্গে কাজ করব। গায়ে পড়ে সম্পর্ক খারাপ করব না। সারা পৃথিবী এখন সংকটে, এখন গায়ে পড়ে সংকট বাধানোর কারো লাভ নেই। সম্পর্ক থাকুক, সামনে সম্পর্কের আরও উন্নয়ন হোক।
মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়ার দাবি অবান্তর এবং এর কোনো যুক্তি নেই বলে মন্তব্য করেন কাদের।
তিনি বলেন, এটি পৃথিবীর কোথাও নেই। এটা সম্ভব না। রিকশায় উঠলেই তো ৩০ টাকা লাগে। কোথায় যাবেন সেটা পরের ব্যাপার।
‘এটা (মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া) একটা অবান্তর দাবি। এটা পৃথিবীর কোথাও নেই’, যোগ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।