কুমিল্লার মুরাদনগরের উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় মাদক সংশ্লিষ্টাতার অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে একই পরিবারের মা, ছেলে ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় মামলা ও গ্রেপ্তার আতংর্কে প্রায় পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে গ্রাম। এ অবস্থায় ঘটনার ১ মাস ১০ দিন পর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এ সময় একজন উপদেষ্টার পরিবারকে জড়িয়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানান মানববন্ধনে উপস্থিত জনতা।
সোমবার (১১ আগস্ট) বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কড়ইবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েক হাজার নারী ও শিশুরা মানববন্ধনে অংশ নেন। নারীরা এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। ‘স্লোগানে মাদক কারবারিদের ঠিকানা কড়ইবাড়িতে হবে না’, ‘আটককৃত নিরপরাধীদের ছেড়ে দেও, নয়তো আমাদেরকেও ধরে নেও’,’ উপদেষ্টার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানি না মানবো না’ স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্হানীয় বাসিন্দা আকলিমা বেগম, জান্নাত আক্তার, শিউলি বেগম, নাসিমা বেগমসহ আরো অনেকে। তারা বলেন, মাদক সম্রাজ্ঞী রুবি দুই যুগ ধরে মাদকের আস্তানা গড়ে ছিল কড়ইবাড়ি এলাকায়। কেউ বাঁধা দিলে তাদের হুমকি ধমকি ও মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখত। গেল ৩ জুলাই মোবাইল চুরি ঘটনাকে কেন্দ্র করে, দীর্ঘদিনের ক্ষোভে গণপিটুনিতে নিহত হয় রুবি সহ তার ছেলে ও মেয়ে। কিন্তু গণপিটুনির ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার আতংর্কে আমাদের পুরো এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় আমাদের এলাকায় চুরি, ডাকাতি বেড়েছে দ্বিগুণ। না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি আমরা।
তারা আরও জানান, রাতের আধারে ঘুমাতে পারি না। প্রতিদিন পুলিশের লোক বলে বাড়িতে এসে আমাদের মাঝে আতর্ক ছড়াচ্ছে। নারী শিশুরা ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ভয়ের ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
মানববন্ধন উপস্থিত নারীরা দাবি করেন,’ঘটনার এক মাস দশ দিন পর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে উপদেষ্টার পরিবারকে জড়ানো হচ্ছে এ হত্যার সাথে। উপদেষ্টার পরিবার রুবিকে চিনে না ও তাদের সাথে কোন সম্পর্ক নেই, তবুও একটি কুচক্রী মহল তাদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি উপদেষ্টার পরিবার।’
ঘটনার সত্যতা যাচাই করে অপরাধীদের দ্রুত বিচার ও নিরপরাধ মানুষের মুক্তি দাবি করেন উপস্থিত নারীরা।