কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে চাঞ্চল্যকরভাবে রোহিঙ্গা শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যাকাণ্ডের মামলার প্রায় সাড়ে আট মাস তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। এ অভিযোগে ২৯ রোহিঙ্গা সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার(১৩ জুন) দুপুরে কক্সবাজার জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।
আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ ছিলেন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ নামের রোহিঙ্গাদের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তদন্তকারীরা জানান, হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য জানা গেলেও সাতজনের নির্দিষ্ট ঠিকানা ও অবস্থান শনাক্ত করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো।
অভিযোগপত্রে নাম থাকা ২৯ আসামির মধ্যে ১৫ জন গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন, বাকি ১৪ জন পলাতক।
গ্রেফতার আসামি ১৫ জনের ভেতর চারজন তদন্ত চলাকালে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার ১-ইস্ট লম্বাশিয়া ক্যাম্পে সরাসরি ৪ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ৪৮ বছর বয়সি রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত করেন উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন। দীর্ঘ তদন্তের পর সোমবার তিনি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।