২০২০ সালে মারা গেছেন বিএনপি’র সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। গত কয়েকমাস আগে তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে পরিবার। অথচ ২৮শে অক্টোবর বিএনপি’র মহাসমাবেশ থেকে ফেরার পথে মৌচাকে পুলিশের উপর ককটেল ছুড়ে নাশকতা মামলার আসামি হয়েছেন।
রামপুরা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর জলিল বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
মামলায় ২৪১ জন আসামির মধ্যে এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়াকে ২২৬ নন্বর আসামি করা হয়। একই মামলায় ১ বছর আগে মারা যাওয়া মো. নাসির রহমান নামের আরও এক ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।
নাসির রামপুরা থানার ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এজাহারে তাকে ৮৮ নম্বর আসামি দেখনো হয়। এদিকে মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার পরিবার।
এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার বড় ছেলে শফিকুর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, মহামারি করোনা শুরু হওয়ার আগেই আমার বাবা মারা গেছেন। তার মৃত্যুর প্রায় সাড়ে ৩ বছর হয়েছে। মৃত্যুর এতদিন পরে কীভাবে একজন মানুষ ককটেল ছোড়ে এটা আমার বোধগম্য নয়। বাবার নামে মামলা হয়েছে, এজাহার দেখে আমিও অবাক হয়েছি। মামলার এজাহারে যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা আমাদের রামপুরার বাসার ঠিকানা।
একই মামলার ২৭ নম্বর আসামি রামপুরা থানা যুবদলের আহ্বায়ক কামাল আহমেদ দুলু বলেন, এগুলো সব গায়েবি মামলা। ওইদিন রামপুরা এলাকায় এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। কিন্তু মামলা ঠিকই হয়েছে। ২০১৮ সালের একটি নাশকতার মামলায় সানাউল্লাহ স্যার আসামি ছিলেন। ওই মামলায় আমিও আসামি ছিলাম।
তিনি বলেন, এজাহার দেখে মনে হচ্ছে, আগের মামলাটি কপি পেস্ট করে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র নতুন একটি তারিখ দেয়া হয়েছে। বাকি সব ঠিক আছে।
২০১৮ সালে রাজধানীর রামপুরা থানায় হওয়া একটি নাশকতার মামলা নং ৪৫(৯)১৮ সঙ্গে বিএনপি’র মহাসমাবেশের পরদিন গত ২৯শে অক্টোবরের ২৯(১০)২৩ মামলার হুবহু মিল রয়েছে। দুটি মামলার ঘটনাস্থল, অপরাধের ধরন, ধারা ও আসামিরা প্রায় একই। শুধুমাত্র আসামিদের ক্রমিক কিছুটা অদলবদল করা হয়েছে।