স্বপ্নের উড়াল ট্রেন মেট্রোরেলের উদ্বোধন হয়েছে গতকাল৷ রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন এ সংযোজন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে এই মিছিল শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের টাকায় পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবারের মতো নদীর তলদেশে কর্ণফুলী টানেল, সেটি কয়েকদিন পরেই উদ্বোধন হবে। পৃথিবীর অনেক দেশে মেট্রোরেল রয়েছে কিন্তু আমাদের দেশের যে মেট্রোরেল তাতে সর্বাধুনিক এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সবুজ সংকেত নাড়িয়ে মেট্রোরেলকে শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য গাইড করেননি পাশাপাশি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য তিনিই যে একমাত্র গাইডলাইন সেটিই তিনি প্রমাণ করেছেন।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন,আমরা যখন মেট্রোরেল উদ্বোধনে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার আরেকটি অর্জন উদযাপন করছি তখন অপশক্তি, প্রেতাত্মাদের অন্তরে জ্বালা শুরু হয়েছে। তারা আগামীকালকে ঢাকা শহরে নৈরাজ্যের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারা আগামীকালকে যদি গণমিছিলের নামে গণহয়রানি করার চেষ্টা করা হলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন,মেট্রোলের ৭টি স্টেশন যখন হলি আর্টিজান হামলায় নিহত ৭ জন জাপানি নাগরিকের নামে হয় তখন বুঝতে হবে বাংলার মাটিতে জঙ্গিবাদের ঠাঁই নাই।
তিনি বলেন, মেট্রোরেলের প্রথম চালক যখন একজন নারী হয় তখন বুঝতে হবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে যতদিন বাংলাদেশ আছে ততদিন নারীর ক্ষমতায়ন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা যে স্মার্ট ক্যাম্পাস তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের অন্যান্য সকল ইউনিটের নেতারা বদ্ধপরিকর বলেও জানান ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।