প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের উড়ালট্রেন মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে রাজধানীর গণপরিবহন-ব্যবস্থায় নতুন এক যুগের সূচনা হয়েছে। মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রায় চালক ছিলেন একজন নারী। তাঁর নাম মরিয়ম আফিজা। তার ভাষ্য, ইতিহাসের অংশ হতে পেরে তিনি গর্বিত।
বুধবার(২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উত্তরার দিয়াবাড়ীতে উত্তর নর্থ স্টেশন থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ২টা ১১ মিনিটে প্রথম যাত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলে আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছেন। মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী মেট্রোরেল।
আগারগাঁও স্টেশনে মেট্রোরেল থামার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ‘ট্রেন অপারেটর’ মরিয়ম আফিজা বলেন, দেশবাসী স্বপ্ন দেখেছিল। সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হলো। এ জন্য সবাই গর্বিত। তবে তাঁর গর্বের জায়গাটা একটু ভিন্ন। কারণ, মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রার চালক ছিলেন তিনি।
আফিজা বলেন, মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রায় আমি চালক ছিলাম। এই যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন যাত্রী। এটা আমার জন্য গর্বের ব্যাপার।
মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রায় চালক হিসেবে তাঁকে নির্বাচন করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান আফিজা।
উদ্বোধনী যাত্রার আগে দিয়াবাড়ি স্টেশন থেকে একটি অগ্রগতি ট্রেন আগারগাঁও যায়। পরে বেলা দুইটায় দিয়াবাড়ি থেকে মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করে।
মেট্রোরেলের প্রথম এই যাত্রার যাত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য ও নির্ধারিত কিছুসংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন। কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থীও মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রার যাত্রী হয়েছিল।
বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী দিয়াবাড়ি স্টেশনে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করেন। এর আগে তিনি মেট্রোরেলের টিকিট (কার্ড) কেনেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। তিনিও টিকিট কেনেন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন–অগ্রযাত্রার আরেকটি পালক হিসেবে মেট্রোরেলকে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেট্রোরেলের যাত্রা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা বাংলাদেশের অহংকারের আরেকটি পালক সংযোজন করতে পারলাম।