অনেক আগেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছেন আর্জেন্টিনা। তবে এখনো বাকি রয়েছে বাছাই পর্বের দুটো ম্যাচ। যা শুধুমাত্র তাদের জন্য নিয়ম রক্ষার লড়াই।
আর এই ম্যাচ দুটোর একটি শুরু হবে আগামীকাল ভোর সাড়ে ৫ টায় ঘরের মাঠ বুয়েনস এইরেসে। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে ভেনেজুয়েলা।
এরপর ১০ সেপ্টেম্বর ভোরে ইকুয়েডরের মাটিতে বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে লিওনেল স্কালোনির দল। নিয়ম রক্ষার এ দুই ম্যাচের প্রথমটি ঘিরে আবেগের বিস্ফোরণ ঘটেছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মধ্যে। কারণ এটাই হতে পারে দেশের মাটিতে লিওনেল মেসির শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৬ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাবেন আর্জেন্টিনার সর্বজয়ী অধিনায়ক মেসি।
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় আগামী ১১ জুন শুরু হবে বিশ্বকাপ। বর্তমান সূচি অনুযায়ী ভেনেজুয়েলা ম্যাচের পর বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে আর কোনো ম্যাচ নেই আর্জেন্টিনার। নিজেদের আঙিনায় মেসির শেষ ম্যাচটি দেখতে তাই উন্মুখ গোটা দেশ। আর এ কারনেই স্তাদিও মনুমেন্তালে মেসির শেষ ম্যাচের টিকিট বিক্রি হয়েছে পাঁচগুণ বেশি দামে।
এছাড়া এই ম্যাচে ফুটবলের খুদে জাদুকর তকমা পাওয়া লিওর পরিবারের সবাই উপস্থিত থাকবেন গ্যালারিতে।
দেশের মাটিতে সম্ভাব্য শেষ ম্যাচ নিয়ে মেসি নিজেও আবেগাল্পুত। তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচটা আমার জন্য খুবই বিশেষ। কারণ, দেশের মাটিতে এটাই আমার বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ। এরপর কোনো প্রীতি ম্যাচ বা অন্যকিছু হবে কিনা, জানি না। তাই আমার, স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই থাকবে আমার সঙ্গে। আমরা একসঙ্গে উপভোগ করব। এরপর কী হবে, জানি না।’
আর্জেন্টাইন মিডিয়ার দাবি, ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে খেলে ক্লাব ইন্টার মায়ামির প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে পারেন ৩৮ বছর বয়সি মেসি। ইকুয়েডরের বিপক্ষে তার খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি অবশ্য মেসির শেষের শুরু নিয়ে কথা বলতেই নারাজ। তার সাফ কথা, ‘মেসি যতদিন আছে, আসুন আমরা উপভোগ করি। ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাববেন না। কখন অবসর নেবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পুরো অধিকার তার আছে। মেসি এখনো মাঠে পার্থক্য গড়ে দেয়।’