যখনই দল ছিলো খাদের কিনারে, আর্মব্যান্ড শক্ত করে তাকেই এগিয়ে আসতে হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে এমনই ছিলো আর্জেন্টিনার ভাগ্য। সেটা ২০১৮ বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ইকুয়েডরের বিপক্ষে কিংবা বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে। মেক্সিকোর সাথে বাঁচা-মরার লড়াইতে প্রথমার্ধের বিরক্তিকর ফুটবলের পর দ্বিতীয়ার্ধে দায়িত্ব কাঁধে নিলেন সেই মেসিই। এলএমটেন আর এঞ্জো ফার্নান্দেজের গোলে মেক্সিকোকে আর্জেন্টিনা হারালো ২-০ গোলে।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুটা ভুলে যেতেই চাইবেন যেকোনো ফুটবল সমর্থক। ফুটবলের চেয়ে শক্তিমত্তার প্রদর্শনীই ছিলো মুখ্য। মাঠে নেমেই ম্যারাডোনার সমান বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচের কীর্তি গড়েছেন মেসি। বলার মতো তথ্য উপাত্ত কেবল এটুকুই। তবে মেক্সিকোর জন্য বলার আছে একটামাত্র ফ্রি-কিক। সেটা অবশ্য কাজে আসেনি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজের দৃঢ়তায়। পুরো প্রথমার্ধে সেটিই ছিলো একমাত্র অন-টার্গেট শট।
দ্বিতীয়ার্ধে এসে দলে কিঞ্চিৎ পরিবর্তন আনলেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। তরুণ জুলিয়ান আলভারেজ এসেছেন ৬৩ মিনিটে। ম্যাচে গতিও এনেছেন তিনি। তবে বড় পরিবর্তন এসেছিলো তারও আগে। গেদো রড্রিগেজের পরিবর্তে নেমেছিলেন এঞ্জো ফার্নান্দেজ।
আর্জেন্টিনার প্রথম গোল আসে ৬৪ মিনিটে। দলের দুই অভিজ্ঞ সেনানী ডি মারিয়া এবং মেসির মাধ্যমে। ডিবক্সের অনেকটা বাইরে থেকে মেসির মাটি কামড়ানো শট ফাঁকি দেয় মেক্সিকোর আলোচিত গোলরক্ষক গুইলার্মো ওচোয়াকে। এই গোলের মাধ্যমে বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার গোলকেও ছুঁয়ে ফেললেন জীবন্ত এই কিংবদন্তী!
এরপর আর্জেন্টিনা কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ম্যাচই খেলেছে। ৮৭ মিনিটে এঞ্জো ফার্নান্দেজের গোলে মেসির অ্যাসিস্ট থাকলেও তাতে গোলদাতার কৃতিত্বটাই বেশি। বাঁকানো এই শট চলতি বিশ্বকাপেরই অন্যতম সুন্দর গোল হিসেবে রেকর্ডবুকে থেকে যাবে।
এই ম্যাচ জয়ে নকআউটের রেসে টিকে রইলো আর্জেন্টিনা। গোল ব্যবধানে তারা উঠে এসেছে ২ নাম্বারে। পরের ম্যাচ পোল্যান্ডের বিপক্ষে। তাতেও অবশ্য জয় নিয়েই ফিরতে চাইবে মেসি বাহিনী।