মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। লাঠিসোটা নিয়ে দুইপক্ষই সংঘর্ষে জড়ায়।
শনিবার(১৩ আগস্ট) দুপুরে গাংনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
দুইপক্ষের মধ্যকার এ সংঘর্ষে গুরুতর হতাহতের কোন সংবাদ পাওয়া না গেলেও স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দোকানপাট বন্ধ করে দেয় ব্যাবসায়ীরা।
ঘটনা নিয়ে গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু বলেন, বিএনপি জামাতের সারাদেশে সৃষ্ট নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি গাংনী বাজারে পৌঁছলে বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালায়। পরে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দিয়ে তাদের প্রতিহত করে।
পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা জানান, বিএনপি’র ৪/৫ জন নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ে বসে গল্প করছিল। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, বিএনপির এ উপজেলা পর্যায়ের কোন কর্মসূচি না থাকলেও প্রায় প্রতিনিয়ত বিএনপির অফিসে হামলা করা হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।
এ সময় তিনি বিএনপি অফিসে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন,ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পরবর্তীতে যাতে আর কোন উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় এজন্য বাজারে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা যারা করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ছাত্রলীগকে নিয়মতান্ত্রিক প্রোগ্রাম করার আহ্বান জানান তিনি। সেই সাথে আইনশৃংখলা যাতে বিঘ্ন না হয় সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানান।