বাজার স্থিতিশীল রাখতে যতদিন প্রয়োজন ততদিন ওএমএসে চাল ও আটা বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান ও চলমান খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএস কর্মসূচিসহ সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বছরে পাঁচ মাস (মার্চ থেকে এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর) চলে। যদি বাড়াতে হয় সেটা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত। ওএমএস কর্মসূচি বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন রাখবো।’
চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী চাল ও আটা খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) শুরু হয়েছে। ওএমএসের আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করবে সরকার। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল ও আটা কিনতে পারেন। এছাড়া টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদেরও দেয়া হবে ওএমএসের চাল।
একই সঙ্গে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও শুরু হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি মানুষ কষ্টে আছে। সরকার কাজ করছে। আমাদের সর্বত্র মনিটরিং আছে। জেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও মনিটরিং করছেন।
বোরোতে ১১ লাখ ২১ হাজার ৯১০ টন সিদ্ধ চাল চাল সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আতপ চাল ৫০ হাজারের জায়গায় ৫৫ হাজার ২০৮ টন আমরা সংগ্রহ করেছি। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যতটুকু বেশি পেরেছি আমরা কিনেছি।
তিনি বলেন, ছয় লাখ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল আমরা দুই লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ টন কিনতে পেরেছি। ধানটাও আমরা নিরাপত্তা মজুতের জন্য কিনে থাকি। ধানটা রাখা হয় এজন্য যে বাজারে যদি ধানের দাম কমে যায় কৃষকরা যেন বিপদে না পড়ে। সরকার যদি ধানের বাজারে থাকে তাহলে সিন্ডিকেট করে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনতে পারবে না। তবে আমাদের রেটের চেয়েও কৃষকরা বাজারে বেশি দাম পেয়েছে। এজন্য ধানটা আমরা শতভাগ কিনতে পারিনি।
চলতি আমন মৌসুমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করেই চাল আমদানি করা হবে বলেও জানান সাধন চন্দ্র মজুমদার।