ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে। স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৩ গুণ বেশি গাড়ি পার হয়েছে যমুনা সেতু দিয়ে। অতিরিক্ত গাড়ির চাপে অন্তত ২৫ কিলোমিটারে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে আশেরপুর বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত এই যানজট হয়।
ফেস দ্য পিপলকে একাধিক যাত্রী জানান, ঈদের ছুটি কাটাতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি যানবাহন চলাচল করছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে যানবাহনের চাপ বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি। রাতে মহাসড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে যানবাহন বিকল হয়ে গেলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
আজ সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। যমুনা সেতুর টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়, যানজট নিরসনে আজ সকালে প্রায় এক ঘণ্টা সেতুর উভয় লেন দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পার করা হয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ৫১ হাজার ৮৪৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
এছাড়া সাভারে মহাসড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে ৯ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঈদযাত্রায় মানুষকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বলিয়ারপুর থেকে জোরপুর এবং নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ও বাড়ইপাড়া এবং ডিইপিজেড-আশুলিয়া সড়কের বাইপাইল থেকে ইউনিক বাসস্ট্যান্ড ও জামগড়া এলাকায় যানজট দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বলিয়াপুর থেকে জোরপুর প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চক্রবর্তী থেকে জিরানী প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ডিইপিজেড-আশুলিয়া সড়কের বাইপাইল থেকে ইউনিক বাসস্ট্যান্ড ও জামগড়া এলাকায় প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কে গাড়ির জটলা রয়েছে।