ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ইউনিক রোড রয়েল্স (ময়মনসিংহ ব ১১-০০৬১) নামের যাত্রীবাহী বাসে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে নাটোরের বড়াইগ্রামে পৌঁছলে যাত্রীরা বাসটি আটকে দেয়।
খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ বাসচালক রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার শাহমখদুম কলেজ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে বাবলু (৪০), সুপারভাইজার একই থানার পূর্ব কাঠালিয়া মহল্লার আঙ্গুর মন্ডলের ছেলে মাহাবুব আলম (৩০) ও সহকারী সাধুর মোড় এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে সুমন ইসলাম (২৮) কে আটক করে এবং বাসটি থানা হেফাজতে নেয়।
যাত্রীরা জানান, ঢাকার গাবতলী থেকে রাত ১০টার দিকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয় বাসটি। চন্দ্রা থেকে আরও তিনজন যাত্রী বাসে উঠেন। কিছুদুর যাওয়ার পর ৭-৮ জন যাত্রীবেশী ডাকাত সদস্য অস্ত্রের মুখে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বাসটি টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকে। এ সময় অস্ত্রের মুখে প্রায় ৫০ জন যাত্রীর নিকট থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণ গহনা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয় তারা। এক পর্যায়ে তারা দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করে।
এরপর পুনরায় বাসটি চন্দ্রার একটি ফাঁকা এলাকায় রেখে ডাকাতরা নেমে যায়।
বাসের যাত্রী বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকার ওমর আকন্দ জানান, ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে তার ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। ডাকাতির বিষয়টি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানায় অবগত করা হয়। এ ঘটনায় চালক, চালকের সহকারী, সুপারভাইজার বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু মির্জাপুর থানা পুলিশ কোন ভূমিকা না নেওয়ায় বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকার তিনজন যাত্রী তাদের স্বজনদের নিয়ে বাসটি আটক করে। পরে খবর দিলে পুলিশ বাসটি জব্দ করাসহ চালক, চালকের সহকারি, সুপারভাইজারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, চালক ও সুপারভাইজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ডাকাতির ঘটনা টাঙ্গাইল জেলায় সংঘটিত হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব টাঙ্গাইলের পুলিশের। তারপরও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।