যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল গণনা চলছে। বুথফেরত বার্তায় অবশ্য কিছুটা দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে ডেমোক্রেটিক পার্টিকে। কারণ, এখন পর্যন্ত মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বিরোধী রিপাবলিকান পার্টি। আর উচ্চকক্ষ সিনেটের দখল নিয়ে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সেখানেও পিছিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দু’বছরের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে মধ্যবর্তী নির্বাচন। এখন পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের প্রার্থীরাই হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।
সর্বশেষ যে ফলাফলের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে তাতে প্রতিনিধি পরিষদে ১৯৯টি আসন নিয়ে এগিয়ে আছে রিপাবলিকান পার্টি। ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছে ১৭৩টি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন হবে ২১৮টি আসন।
অন্যদিকে উচ্চকক্ষ সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৫১ আসনে জয় পেতে হবে। বিবিসির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ডেমোক্র্যাটরা সিনেটের ৪৮ আসন এবং রিপাবলিকানরা ৪৭ আসন পেয়েছে।
চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যে চারটি অঙ্গরাজ্যের দিকে সবার চোখ, সেগুলো হচ্ছে জর্জিয়া, পেনাসিলভানিয়া, অ্যারিজোনা এবং নেভাডা। এর মধ্যে অ্যারিজোনা, জর্জিয়া এবং নেভাডায় সিনেট আসনে এগিয়ে রয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রথানুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই বছর পর অনুষ্ঠিত হয় কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস (প্রতিনিধি পরিষদ) ও উচ্চকক্ষ সিনেটের একাংশ আসনের নির্বাচন। সেই প্রথা অনুযায়ী মঙ্গলবার প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসন ও সিনেটের ৩৫ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটস না রিপাবলিকানদের হাতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
গণনার প্রবণতা বলছে, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাতছাড়া হতে চলেছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির। বিদায়ী হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ছিলেন ২২০ জন ডেমোক্র্যাট সদস্য, ২১২ জন রিপাবলিকান। এ বার সে সমীকরণ উল্টেও যেতে পারে।
প্রতিনিধি পরিষদে নিয়ন্ত্রণ হারানোর অর্থ মেয়াদের বাকি সময়টাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে বিস্তর বেগ পেতে হবে।