বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসানের খারাপ সময়টাই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। একের পর এক ব্যর্থতা ও হতাশাই যেন আকড়ে ধরেছে এই অলরাউন্ডারকে৷ এবার যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটেও দল হারালেন সাকিব। লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্স তাদের তালিকা নাম রাখেননি এই বাংলাদেশি তারকার।
৫ আগস্টের পর থেকে দেশে ফিরতে না পারা এই ক্রিকেটার ভক্তদের কাছেও যেন হতাশার নাম। সন্দেহজনক বোলিংয়ের পর নিষেধাজ্ঞা মুখে পড়া এবং রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে খারাপ অবস্থায় পড়া সাকিব জাতীয় দলে থেকেও নিজের চাওয়া অনুযায়ী বিদায় নিতে পারেননি।
এদিকে গতকাল শনিবার লস অ্যাঞ্চেলস তাদের রিটেইন ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে সাকিবকে। ৩ জন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে তারা। এর মধ্যে দুজন নিয়মিত নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারিন এবং অন্যজন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার স্পেনসার জনসন।
শাহরুখ খানের দল সাকিবের মতো ছেড়ে দিয়েছে জেসন রয়, ডেভিড মিলার, অ্যাডাম জাম্পার মতো ক্রিকেটারকেও। যদিও একই টুর্নামেন্টে আবারও খেলার সুযোগ আছে। তাদের। ড্রাফটের প্রক্রিয়া শেষ করে দলে ঢুকতে হবে তাদের। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ড্রাফট।
এ ছাড়াও সাকিবদের দলের মতো অন্যান্য বড় ক্লাবও বড় বড় সব তারাকাকে ছেড়ে দিয়েছে। এর মধ্যে আছেন সান ফ্রান্সেসকো ইউনিকর্নসের হয়ে খেলা অজি তারকা প্যাট কামিন্স ওয়াশিংটন ফ্রিডমসের ট্রাভিস হেড। এই দুই অজি তারকাকে ছাড়ার প্রেক্ষাপট অবশ্য ভিন্ন। মেজর লিগ ক্রিকেটের নির্ধারিত সময়ে অজিদের টেস্ট সিরিজ থাকায় মূলত তাদের রাখা হয়নি । যদিও স্টিভেন স্মিথকে ছাড়েনি ওয়াশিংটন ফ্রিডম।
গত মৌসুমে লস অ্যাঞ্চেলস নাইট রাইডার্সের হয়ে মাত্র ৪ ম্যাচে খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। যেখানে মাত্র ১ উইকেট পাওয়া এই বাঁহাতি স্পিনার করেছেন ৬০ রান। বোঝাই যাচ্ছে ভালো ফর্মেও নেই এ অলরাউন্ডার। গত আসরে বেশিরভাগ ম্যাচেই তাকে ছাড়া মাঠে নেমেছিল দলটি।
এ বছর আর মাঠে নামতে পারেননি সাকিব আল হাসান। সবশেষ সাকিবকে ক্রিকেট মাঠে দেখা গেছে গেলো বছরের নভেম্বরে। লঙ্কা টি-১০ লিগে খেলার পর আর মাঠে নামা হয়নি তার। রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে সংসদ হওয়ার পর থেকেই বিতর্কিত হয়ে পড়েন সাকিব। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আর দেশে ফিরতে পারেননি তিনি।
আর জাতীয় দলের হয়ে গেলো বছরের অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন সাকিব।