শৈশব থেকেই ইচ্ছে ছিল মাটি ও মানুষের জীবনকে উন্নত করার- প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কৃষিক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করার। বিশেষত, কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর, অবদান রাখতে চাইতেন দেশের কৃষিক্ষেত্রে। তাই গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবে কৃষিকেই বেছে নিয়েছিলেন। এবার তার কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বমঞ্চে। বলছিলাম বাংলাদেশি তরুণ গবেষক ও নিউ ইয়র্ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পিএইচডি শিক্ষার্থী মো.কামরুল সিয়ামের কথা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কৃষি প্রযুক্তির জন্য তিনি এডওয়ার্ড গিলিয়ানো গ্লোবাল ফেলোশিপ অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশে একটি প্রযুক্তি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেই শুরু হয়েছিল তার যাত্রা। তিনি তৈরি করেছেন একটি স্মার্টফোন-ভিত্তিক এআই টুল, যা ইন্টারনেট ছাড়াও ফসলের রোগ সনাক্ত করতে পারে। ২০২৫ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের ম্যাকোম্ব ফার্মারস মার্কেটে এই প্রযুক্তির পাইলট প্রোগ্রাম শুরু হবে, যেখানে হাজার হাজার কৃষক উপকৃত হবেন।
বাংলাদেশি টেক স্টার্টআপ AI-Vision Limited-এর সিইও পদে দায়িত্বরত ছিলেন সিয়াম। এখন গবেষণাগারে কাজ করছেন ক্যান্সার সনাক্তকরণ, মেডিকেল ইমেজ বিশ্লেষণ ও জেনারেটিভ AI নিয়ে। ইতিমধ্যে তার নাম উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক জার্নালে।
তবে তার স্বপ্ন কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই থেমে নেই। সিয়াম গর্বের সাথে জানান, এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কৃষকদের জন্যও আনতে চান তিনি।
গণমাধ্যকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে উঠে আসে দেশের কৃষি নিয়ে তার স্বপ্নের কথা। তিনি বলেন, ‘এটাই শুরু, বাংলাদেশি কৃষকদের হাতেও যেন এই প্রযুক্তি পৌঁছায়, সেটাই আমার লক্ষ্য।’
USDA-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কীটপতঙ্গে প্রতিবছর ২০–৪০% ফসলের ক্ষতি হয়, যা এই প্রযুক্তির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা সম্ভব বলে মনে করেন মো. কামরুল সিয়াম।