পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় তার নামে থাকা একাধিক সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং ফ্রিজ করা হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে লেক অ্যাভিনিউ এবং লেক স্ট্রিট এলাকায় বেনজীর আহমেদের নামে থাকা দুটি স্থাবর সম্পত্তি (প্রতিটির মূল্য ২ লাখ ১৫ হাজার ডলার) ক্রোক করা হয়েছে। একইসঙ্গে, দেশটির স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকে থাকা তার দুটি ব্যাংক হিসাব এবং মালয়েশিয়ার সিআইএমবি ইসলামিক ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম এই আদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনে জানানো হয়, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক থাকা অবস্থায় অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
দুদকের দাবি, তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদ বর্তমানে নিজ এবং আত্মীয়স্বজনের নামে থাকা এসব সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। ফলে মামলার বিচার শেষে রাষ্ট্রের অনুকূলে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সেই কারণে চার্জশিট দেওয়ার আগেই সম্পদ জব্দ করা জরুরি হয়ে ওঠে।
দুদকের আবেদনের ওপর বিবেচনা করে আদালত তাৎক্ষণিকভাবে বিদেশে থাকা সম্পদ ও হিসাবগুলো ক্রোক ও ফ্রিজের নির্দেশ দেন।