টানা প্রায় দুই সপ্তাহের সংঘাতের পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। দেশ দুটির পক্ষ থেকে এই যুদ্ধবিরতির তথ্য নিশ্চিতও করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে শুরু হলো এই যুদ্ধবিরতি। তবে যুদ্ধবিরতি শুরু হতেই ইসরায়েলে শুরু হয়েছে সরকারবিরোধী আরেক বিক্ষোভ।
মূলত ইসরায়েল ও ইরানের যুদ্ধবিরতি ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডেও কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে গাজায় আটক থাকা বন্দিদের পরিবারগুলো। ইসরায়েলি এসব পরিবারের দাবি, যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে ফিলিস্তিন ও গাজাকেও যুক্ত করা হোক।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের স্বজনদের একটি সংগঠন মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি গাজাতেও সম্প্রসারিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম নামের সংগঠনটি বলেছে, “যারা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি করতে পারে, তারা চাইলে গাজার যুদ্ধও বন্ধ করতে পারে”। তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতির আওতায় “গাজাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে”।
একইসঙ্গে “বন্দিদের ঘরে ফেরাতে ও যুদ্ধ শেষ করতে জরুরি আলোচনায় বসার” জন্য নেতানিয়াহু সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে তারা।
ফোরামটি আরও বলেছে, “গত ১২ দিন ধরে ইরান নিয়ে যে আতঙ্কে ইসরায়েলিরা ঘুমাতে পারেনি, এখন আমরা আবার ঘুমাতে পারছি না আমাদের প্রিয় বন্দিদের জন্য।”
ইসরায়েলি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ইরান-সমর্থিত হামাস গোষ্ঠীর হাতে এখনও ৫০ জন বন্দি রয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইসরায়েলের বিরোধী দলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এই আহ্বানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লিখেছেন: “এখন সময় গাজা ফ্রন্ট বন্ধ করার। বন্দিদের ঘরে ফেরানোর, যুদ্ধ বন্ধ করার। ইসরায়েলকে এখন পুনর্নির্মাণ করার সময়।”