গাজায় যুদ্ধবিরতির শর্ত না মানার অভিযোগে হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা ঘোষণা করেছে যে, জিম্মি মুক্তির পরবর্তী ধাপ স্থগিত করা হবে। হামাসের সশস্ত্র শাখার মুখপাত্র আবু ওবাইদা জানান, যুদ্ধবিরতির শর্ত ভাঙার কারণে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে না।
আসন্ন শনিবারে ইসরাইলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে আরও তিনজন জিম্মি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, তবে এখন তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হামাসের অভিযোগ, গাজার উত্তরের ফিলিস্তিনিদের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে ইসরাইল বিলম্ব করছে, নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে এবং মানবিক সহায়তা প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা দাবি করেছে, ইসরাইল যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করছে।
এই ঘোষণার পর ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ মন্তব্য করেছেন যে, জিম্মি মুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি মনে করেন যদি শনিবারের মধ্যে গাজায় আটক সকল জিম্মি মুক্তি না দেওয়া হয়, তবে যুদ্ধবিরতি বাতিল করা উচিত। ট্রাম্প আরও বলেছেন, সব জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়া উচিত, একে একে নয়। ট্রাম্পের মতে, ইসরাইল যদি তার প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস গাজায় ৭৩ জনকে জিম্মি করে নিয়ে এসেছিল। তাদের সঙ্গে এক দশক আগে আরও তিনজনকে জিম্মি করা হয়েছিল, যারা এখনো গাজায় বন্দী রয়েছেন। ট্রাম্প এই পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে বলেছেন, যদি সমস্ত জিম্মির মুক্তি না হয়, তবে গাজায় “জাহান্নামের” মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির পর, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কাৎজ গাজার পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ৭ অক্টোবরের মতো ঘটনা পুনরাবৃত্তি সহ্য করা হবে না, তবে যদি ইসরাইল যুদ্ধবিরতির শর্ত পালন করে, তাহলে জিম্মি বিনিময়ের সুযোগ থাকবে।