অবশেষে সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মন্ত্রীসভার ৫০ জন সদস্যের পদত্যাগ, নিজ দলের অনাস্থা সব মিলিয়ে পদ টিকিয়ে রাখা একপ্রকার কঠিন হয়ে যায় জনসনের জন্য। তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগে তিনিই থাকছেন এই পদে। তবে সেই প্রক্রিয়াও নেহায়েত সহজ নয়।
পার্টি প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী হবার পথটি বেশ লম্বা। কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয় প্রার্থী বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে। দলের অন্তত আট জন এমপির সমর্থন থাকলে একজন প্রধান নেতা হিসেবে আগ্রহী প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হবেন।
যদি তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকেন তাহলে তিনি সরাসরি দলের নেতা নির্বাচিত হয়ে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন।
যদি মনোনীত প্রার্থীর সংখ্যা দুই জন হয় তাহলে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের একজনকে নেতা নির্বাচিত করবেন।
তবে মনোনীত প্রার্থীর সংখ্যা দুইয়ের অধিক হলে প্রক্রিয়াটি একটু দীর্ঘ হবে। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত পর্বের দুই প্রার্থীকে বেছে নিতে দলের এমপিরা ভোট দেওয়া শুরু করবেন। প্রথম পর্বের ভোটে ১৮ জনেরও কম এমপির ভোট পাওয়া প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ছিটকে পড়বেন।
দ্বিতীয় পর্বে যে প্রার্থী ৩৬ এর কম ভোট পাবেন তিনি ছিটকে যাবেন। এরপরও প্রার্থী তিন বা ততোধিক হলে এদের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া জন বাদ পড়বেন। তারপর থেকে প্রার্থীর সংখ্যা দুই জনে দাঁড়ানো না পর্যন্ত এমপিদের ভোট দেওয়া চলতে থাকবে আর সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া প্রার্থী বাদ পড়তে থাকবেন।
চূড়ান্ত যে দুই প্রার্থী থেকে যাবেন তাদের মধ্যে একজনকে নেতা হিসেবে বেছে নিতে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ভোট হবে। পোস্টাল ভোটে যিনি বেশি সমর্থন পাবেন তিনিই দলটির পরবর্তী নেতা হবেন।
নেতা নির্বাচন শেষে ব্রিটিশ রানী এলিজাবেথ তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। রানীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে নির্বাচিত নেতা প্রধানমন্ত্রী হবেন।