প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, বিশ্ব অর্থনীতির চলমান সঙ্কটের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাদ্য আমদানির জন্য।
রবিবার(৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারপ্রধান এ নির্দেশনা দেন বলে বৈঠক শেষে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বর্তমানে রাশিয়া, ভারত, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে খাদ্যশস্য কেনা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে খাদ্য আমদানি করলে কোনো অসুবিধা হবে না। বর্তমানে ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের মতো খাদ্যের মজুত আছে। গত দু-এক দিনে চার-পাঁচ টাকা করে চালের দাম কমেছে।
খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পরিচালনার ফলে অনেক মানুষ বাজার থেকে সরে গেছেন জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটি ভালো ফল দিচ্ছে। তবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি যেহেতু দুই মাস এবং পরবর্তীকালে আরও তিন-চার মাস পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে জন্য পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হবে। এটির জন্য চুক্তিও হয়েছে এবং কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যে পরিমাণ খাদ্য গুদাম থেকে যাবে, সেই পরিমাণ খাদ্যশস্য অতিরিক্ত কেনার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আগাম নিরাপত্তার জন্য এটি করা হয়েছে উল্লেখ করে সচিব জানান, আমদানির জন্য যে চুক্তি এবং কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, তাতে আর কোনো ঘাটতি হবে না।
আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আইনের খসড়া এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য একটি সহযোগিতা চুক্তির খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীসভা একইসাথে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা’র নাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় মানবকল্যাণ পদক নীতিমালা’ করার অনুমোদন দিয়েছে।