সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়ি মার-এ-লাগো’তে বিশেষ ‘অভিযান’ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। যদিও অভিযানের সময় ট্রাম্প ফ্লোরিডার বাড়িতে ছিলেন না। তিনি এ সময় নিউইয়র্ক সিটির ট্রাম্প টাওয়ারে ছিলেন। খবর বিবিসির।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার ফ্লোরিডার বাড়িতে ‘অভিযান’ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এ সময় এফবিআইয়ের এক এজেন্ট তার বাড়ির একটি সেফ ভেঙে ফেলে বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। যদিও এফবিআই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সোমবার (৮ আগস্ট) ফ্লোরিডায় তার বিলাসবহুল মার-এ-লাগো রিসোর্টে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। অভিযানটি ট্রাম্পের অফিসিয়াল কাগজপত্র পরিচালনার তদন্তের সাথে যুক্ত ছিল বলে জানা গেছে।
ট্রাম্পের দাবি, তিনি সব প্রাসঙ্গিক সরকারি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। তাই ‘এ ধরনের অঘোষিত অভিযান প্রয়োজনীয় বা উপযুক্ত ছিল না’ বলে অভিযোগ করেন ট্রাম্প।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন খবর প্রচার হওয়ার পরই মূলত এ অভিযান শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সব চিঠি, কাজ সংশ্লিষ্ট নথি ও ইমেইল ন্যাশনাল আর্কাইভের কাছে হস্তান্তর করতে হয়। কিন্তু কর্মকর্তাদের দাবি, ট্রাম্প বেআইনিভাবে বেশ কিছু নথি ছিঁড়ে ফেলেছেন। তাদেরকে কয়েকটি নথি বর্তমানে জোড়া লাগাতে হচ্ছে।
এদিকে ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে ঠেকাতে বিচার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ধরনের হামলা শুধুমাত্র তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেই ঘটতে পারে। দুঃখজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্রও এখন সেই দেশগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে, যা আগে কখনও দেখা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টের বাড়িতে এভাবে এফবিআই হানা দেওয়ার ঘটনা অভূতপূর্ব বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
এফবিআই জানায়, অভিযানে বেশ কয়েকটি বাক্স উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দরজায় কোনো লাথি দেওয়া হয়নি এবং বিকেলের মধ্যে অভিযান শেষ হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্সিয়াল তথ্য সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা মার্কিন সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল আর্কাইভস ফেব্রুয়ারিতে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানায়। সংস্থাটির দাবি, মার-এ-লাগো থেকে ১৫ বক্স নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি রয়েছে।