গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানতে চেয়েছেন– শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা সরকার করেছে নাকি শ্রমিক করেছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করার পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ প্রশ্ন রাখেন।
এর আগে আজ সকালে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে রায় চ্যালেঞ্জ করে চারজনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
রোববার ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এমএ আউয়াল (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এ আদেশ দেন।
এর আগে ড. ইউনূসসহ চারজন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন। তারা এ মামলায় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। একই সঙ্গে তারা জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার দিক থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার করা দরকার, সরকার বারবার বলতেছে, সকল পর্যায়ে থেকে বলতেছে, এই মামলা সরকার করেনি। কিন্তু আপনারা তো (সাংবাদিক) সাক্ষী। আপনারা তো কোনো কিছু বলছেন না। এটা কি সরকার করল, নাকি শ্রমিক করল? এ জবাবটা আমাকে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর তো সরকারি, সরকারের অধীন। শ্রমিক তো কোনো মামলা করেনি, সেটা আপনারা (সাংবাদিক) বলেন। এটা তো মিথ্যা কথা।’
এদিন ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
গ্রামীণ ব্যাংক, সামাজিক ব্যবসাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার কথা তিনি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।