রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত প্রিতম-জামান টাওয়ারে অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আগামী দুদিনের মধ্যে ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে ভবন কর্তৃপক্ষ। ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নূরের দ্বন্দ্বের জেরে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকালে জমির মালিকের পক্ষে মো. রাশিদুল আজিম মিয়া নামে এক ব্যক্তি সংস্থাটির সদস্যসচিব নুরুল হক নূর বরাবর এ নোটিশ পাঠান।
এতে বলা হয়, বর্তমানে আপনাদের দলে অন্তঃকলহ ও কাউন্সিল নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নানা রকম দুর্ঘটনার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ ভবনের অন্যান্য শতাধিক ব্যবহারকারী বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত ও ভীত। ভবনের ফ্ল্যাট মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে ভবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে ষষ্ঠ তলার অফিসটি (গণঅধিকারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়) খালি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ দুই নেতা রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হককে ঘিরে দলটিতে অস্থিরতা চলছে। নুরুল হক ও তার সমর্থকরা ১০ জুলাই জাতীয় কাউন্সিলের ঘোষণা দিয়েছেন। গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে দলের প্রথম কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সদস্য গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে নুরুল হক ও তার সমর্থকদের তৎপরতাকে অবৈধ বলে অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, রেজা কিবরিয়াই দলের আহ্বায়ক হিসেবে বহাল আছেন। বৃহস্পতিবারের এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের যে অফিস ভবন আছে, সেটির মালিক আমি। অফিসটি গণঅধিকার পরিষদকে আমি দিয়েছি ব্যবহার করতে। এটির কোনো ভাড়ার লেনদেন হয় না। আমার মাসিক অনুদান হিসেবে দেখানো হয়।
এদিকে ভবন মালিকপক্ষ নোটিশ দিলেও গণঅধিকার পরিষদ তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আপাতত ছাড়ছে না।
দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ জানান, গত বছরের ১ মার্চ তিন বছরের চুক্তিতে কার্যালয় ভাড়া নেওয়া হয়। মালিকপক্ষের সঙ্গে চুক্তিপত্রে কার্যালয় ছাড়তে ছয় মাসের নোটিশের কথা উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং তারা নোটিশ দিলেই কার্যালয় ছেড়ে দেওয়া হবে, বিষয়টি এমন না। প্রয়োজনে আমরা আইনের আশ্রয় নেব।