রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার (০৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এর সভাপতিত্বে আমদানি-রপ্তানিসহ সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ‘বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির’-সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে যদি কোন আগাম পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রতি তিন মাসে আমরা এই কমিটির একটি সভা করবো। আজকের আলোচনায় অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা বলেছে তাদের এলসি ওপেন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। আজকের আলোচনায় যে যে সমস্যার কথা বলেছেন, যে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রিলেটেড সেগুলো সব কিছু বাণিজ্য সচিব নোট করেছেন। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আমাদের কর্মকর্তাদের পাঠাবো। কোথায় কি অ্যাকশ্যান নিয়ে কাজ হবে প্রয়োজনে তাদেরকে চিঠি দেবো।
তিনি বলেন, আলোচনায় আরেকটি বিষয় উঠে আসছে সেটা হলো রামজান আগামী মার্চ মাসে শুরু হবে। সে সময় যাতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য এলসিসহ অন্যান্য বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা দেখবেন বলে জানিয়েছে। আমরা এসব বিষয়ে সতর্ক রয়েছি। শিগগিরই আমরা বড় বড় ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসবো। কোন অবস্থাতে রমজান মাসে সাধারণ ভোক্তাদের যাতে বিপদ আপদ বা সমস্যায় না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক নজর রয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে আজকে রাতারাতি সব কিছু বদলে দেয়া যাবে না। আজকের অবস্থা, বৈশ্বিক সব কিছু ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কি আছে সব কিছু আপনারা জানেন। আমরা অন্তত যে দাম আসছে সেটাকে কনসিডারেশনে নিয়ে বা লোকসান করে কেউ বিক্রি করবে না। তবে আমাদের যেটা দরকার হলো রিজেনএবল দামে যেন যথেষ্ট পরিমাণ পন্য রমজান মাসে আসে।
তিনি বলেন, সিটি গ্রুপ বলেছে তারা নতুন কিছুর জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে। যেখানে সমস্যা এলসি নিয়ে সেটাও তারা কথা বলে নেবে। দুই এক দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকও রমজান সাসনে রেখে নিত্যপণ্যের বিষয় সার্বিক বিবেচনায় নিয়েছেন। তাদের যে প্রতিনিধি আসছেন তাদেরকে বলা হয়েছে তারা কাল-পরশুর মধ্যে তারা একটা পরিষ্কার নির্দেশনা দেবেন। সুতরাং রমজান মাসে দাম কমে যাবে সেটা বলছি না, অন্তত আজকের বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে যে দাম হওয়া উচিত সেটা মাথায় রেখে পণ্যের সরবরাহ বা পণ্য পাওয়া যায়।