ফরিদপুরে জীবিত খোঁজ পাওয়া রহিমা বেগমের ‘নিখোঁজ’ ঘটনা ‘অপহরণ’ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘খুলনার দৌলতপুরের বাসা থেকে অপহরণের কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও মামলাটি তদন্ত করছি এবং রহিমা বেগম তার নিখোঁজের বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে, মামলায় গ্রেপ্তারদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান রহস্যজনকভাবে এই নিখোঁজের পেছনের ‘মাস্টারমাইন্ড’। মরিয়মসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সত্য উদঘাটন করা যাবে বলে জানান তারা।
২৯ দিন ধরে ‘নিখোঁজ’ থাকা রহিমা বেগমের জবানবন্দি ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে রেকর্ড করার পর তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাদীর আইনজীবী আফরুজ্জামান টুটুল জানান, পরে তাকে খুলনার বয়রা এলাকায় তার ছোট মেয়ে আদুরী আক্তারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
রহিমা তার বিবৃতিতে ‘জমি বিরোধের জেরে অপহরণ’ হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তাকে অপহরণ করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি নিজে ফরিদপুর যান।
আগের রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা থেকে রহিমাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
খুলনায় পিবিআই কার্যালয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সময় রহিমা দাবি করেন, ‘আমার বাড়ির সামনে থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ে কয়েকজন আমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।’
এ সময় রহিমার বরাত দিয়ে মুশফিকুর রহমান জানান, ‘গোলাম কিবরিয়া ও মো. মহিউদ্দিন নামে দুই ব্যক্তি যাদের সাথে জমি নিয়ে রহিমার বিরোধ ছিল তারা জোরপূর্বক একটি খালি কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে মাত্র এক হাজার টাকা দিয়ে তাকে দূরবর্তী স্থানে ফেলে রেখে যায়।’