ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর উদ্ধারকারীরা খুঁজে পেয়েছেন রাইসির সেই হেলিকপ্টার। তবে ইরানি প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এই হেলিকপ্টারটি ‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে’ বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এমনকি সেখানে কারও ‘বেঁচে থাকার বা জীবিত থাকার কোনও চিহ্ন’ নেই বলেও জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও সিএনএন রেড ক্রিসেন্টের বরাতে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইব্রাহিম রাইসি এরইমাঝে নিহত হয়েছেন। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার অপেক্ষা চলছে। যদিও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর এরইমাঝে রাইসির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
বিবিসি তাদের খবরে জানায়, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মুখে পড়ার পর সেখানে কারও জীবিত থাকার ‘কোনও চিহ্ন’ নেই বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি বলছে। অন্যদিকে ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটি ‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে’।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএন এবং আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে ‘কোনও জীবিত ব্যক্তি’ পাওয়া যায়নি।
ইরানের রেডক্রিসেন্ট প্রধান পীরহোসেন কোলিভান্দ জানান, বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি ভালো নয় বলে তিনি সে সময় জানান। তিনি বলেন, ‘রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া গেছে। আমরা হেলিকপ্টারের দিকে এগোচ্ছি। পরিস্থিতি ভালো নয়।’
সোমবার সকালে প্রায় ১৯ ঘণ্টা চেষ্টার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার বেশ লম্বা সময় পর অবশেষে উদ্ধারকারীরা রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পান। তবে ইরানি এই প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীরা বেঁচে আছেন কি না সেটি তখনও নিশ্চিত করে বলা হয়নি।
এর আগে রোববার একটি বাঁধ উদ্বোধন করে ইরানি প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানের তারবিজে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এই সময় তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। তারবিজে ফেরার পথেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।