দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা, কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েন, কিংবা পেহেলগামের মতো মর্মান্তিক হামলা—এসবের ছায়া দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেটে পড়ে আসছে। তবে রাজনৈতিক সংঘাতের মাঝেও ক্রিকেট যেন বারবার সুযোগ তৈরি করে ‘মানবিক সেতু’ নির্মাণের। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে আবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান—তাও এমন এক সময়ে, যখন উত্তেজনার আঁচ এখনও মুছে যায়নি।
আগামী ৫ অক্টোবর নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে মুখোমুখি হবে দুই প্রতিবেশী দেশ। যদিও বিশ্বকাপ আয়োজন করছে ভারত, তবে পাকিস্তানের নিরাপত্তা আপত্তি মেনে নিয়ে ম্যাচটি নিরপেক্ষ ভেন্যু কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপের সূচি অনুযায়ী, পাকিস্তান টুর্নামেন্টে খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ অক্টোবর, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫ অক্টোবর, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮ অক্টোবর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ অক্টোবর ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৪ অক্টোবর। এই পাঁচ ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে কলম্বোতে। অন্যদিকে ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে নিজস্ব ভেন্যুতে। দুই দেশের জন্যই আলাদা মাঠ, আলাদা পরিবেশ।
পাকিস্তানের মাটিতে ভারত খেলতে অস্বীকৃতি জানানো এবং ভারতের দাবি অনুযায়ী আগের আসরগুলোতে হাইব্রিড মডেল চালু হওয়া—এসব কূটনৈতিক সমীকরণে ক্রিকেট যেন রাজনীতির ঘুঁটি হয়ে উঠেছে। অথচ খেলাধুলার মূল দর্শনই তো বৈরিতা ভুলে এক হওয়ার বার্তা দেয়।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে ক্রিকেটাররা এখন অনুশীলনে ব্যস্ত। কেউ কেউ এই ম্যাচকে “মর্যাদার লড়াই” বললেও কিছু খেলোয়াড় বলেছেন, “মাঠে আমরা কেবল প্রতিপক্ষ, শত্রু নই”—এই ধরনের অনুভূতি ভবিষ্যতের পথ দেখাতে পারে।