21 C
Dhaka
Wednesday, December 18, 2024

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে ১০টি বিষয়

- Advertisement -

ব্রিটেনের দীর্ঘতম রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞী

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২০২২ সালে তার সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর পূর্ণ করেছেন। এরমধ্য দিয়ে তিনি ব্রিটিনের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক ও দীর্ঘতম রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞীর খেতাব অর্জন করেছেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি তার প্রপিতামহী রানী ভিক্টোরিয়ার রেকর্ড ভঙ্গ করেন, যিনি ৬৩ বছর সাত মাস রাজত্ব করেছিলেন।

২০১৬ সালে, থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের মৃত্যুর পর এলিজাবেথ ছিলেন বিশ্বের দীর্ঘতম রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞী।

২০২২ সালে তিনি ১৭ শতকের ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই এর পরে বিশ্ব ইতিহাসে দ্বিতীয়-দীর্ঘকাল-শাসনকারী সম্রাজ্ঞী হন। চতুর্দশ লুই, মাত্র ৪ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেছিলেন।

এলিজাবেথ ও ভিক্টোরিয়া ছাড়াও ব্রিটিনের ইতিহাসে অন্য চারজন রাজা ৫০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে রাজত্ব করেছেন। তারা হলেন- তৃতীয় জর্জ (৬৯ বছর), তৃতীয় হেনরি (৫৬ বছর), এডওয়ার্ড তৃতীয় (৫০ বছর) ও স্কটল্যান্ডের ষষ্ঠ জেমস (৫৮ বছর)।

বাড়িতে শিক্ষাগ্রহণ

তার সময়ের ও আগের অনেক রাজপরিবারের মতোই, এলিজাবেথও কখনই কোনো পাবলিক স্কুলে যাননি। তিনি তার ছোট বোন মার্গারেটের সঙ্গে বাড়িতেই শিক্ষা গ্রহণ করেন।

তিনি তার বাবার কাছেও শিক্ষা গ্রহণ করেন। এছাড়া তার শিক্ষকদের মধ্যে ইটন কলেজের একজন সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন ফরাসি ও বেলজিয়ান গভর্নেস তাকে ফরাসি শিখিয়েছিলেন এবং ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ তাকে ধর্ম শিখিয়েছিলেন।

এছাড়াও এলিজাবেথ বাইক চালানো, সাঁতার কাটা, নাচ, ফাইন আর্টস ও সঙ্গীত শেখেন।

নং ২৩০৮৭৩

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, প্রিন্সেস এলিজাবেথ সংক্ষেপে ‘নং ২৩০৮৭৩’ নামে পরিচিত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের হয়ে কাজ করার জন্য এলিজাবেথকে অক্সিলারি টেরিটোরিয়াল সার্ভিসে একজন সাবল্টার্ন (জুনিয়র অফিসার) করা হয়।

যুদ্ধের কাজে সম্পৃক্ত হতে তার বাবা-মায়ের অনুমতিতে তিনি অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাক চালাতে ও প্রয়োজনে সেগুলো মেরামত করতে শিখেছিলেন।

গ্রেট মিমিকার’

এলিজাবেথ প্রায়ই চেহারায় ভারিক্কি অভিব্যক্তি বজায় রাখতেন, তাই অনেকেই তাকে ‘জুজু মুখো’ বলে অভিহিত করতেন। কিন্তু যারা তাকে কাছে থেকে চিনতেন, তারা তাকে একটি দুষ্টু, হাস্যরসিক ও অন্যের অভিব্যক্তি নকল করার অসামান্য প্রতিভাধর বলে বর্ণনা করতেন।

ক্যান্টারবারির সাবেক আর্চবিশপ রোয়ান উইলিয়ামস বলেছেন, রানি ‘ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত মজা করতে পারে। কেউ তার এ বিষয়টির প্রশংসা করে না যে, তিনি কতটা মজা করতে পারেন।’

রানির পারিবারিক যাজক বিশপ মাইকেল মান একবার বলেছিলেন যে ‘রানির কনকর্ড অবতরণ করাকে অনুকরণ করা আপনাদের দেখা সবচেয়ে মজার কাজগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে।’

এছাড়াও ইয়ান পাইসলি নামের একজন আইরিশ পাদ্রী ও রাজনীতিবিদ বলেছেন, এলিজাবেথ একজন ‘দারুন অনুকরণকার’ ছিলেন।

রাজকীয় করদাতা

তিনি রানী হয়েও ১৯৯২ সালে থেকে ট্যাক্স দিতেন।

১৯৯২ সালে যখন রাণীর অবকাশ যাপনের বাসভবন উইন্ডসর ক্যাসেল আগুনে পুড়ে যায়, তখন জনসাধারণ মেরামতের জন্য কয়েক লাখ পাউন্ড দেয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।

তখনন তিনি স্বেচ্ছায় তার ব্যক্তিগত আয়ের ওপর কর দিতে রাজি হয়েছেন।

রানি বলেছিলেন, মেরামত কাজের ব্যয়ের ৭০ শতাংশ তিনি পূরণ করবেন এবং তিনি অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহ করতে প্রথমবারের মতো বাকিংহাম প্যালেসে তার বাড়িটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

ছোট্ট লিলিবেট

তার মা, মাতামহী ও প্রমাতামহীর সম্মানে রানিকে ইয়র্কের এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি উইন্ডসর নামে নামকরণ করা হয়েছিল। কিন্তু শৈশবে তার পরিবাররের সদস্যদের কাছে তিনি ছোট্ট লিলিবেট নামেই পরিচিত ছিলেন। কারণ তিনি সঠিকভাবে ‘এলিজাবেথ’ নামটি উচ্চারণ করতে পারতেন না।

তার নানী কুইন মেরির কাছে একটি চিঠিতে, তরুণ রাজকুমারী লিখেছেন: ‘প্রিয় ঠাকুরমা। সুন্দর ছোট্ট জার্সির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা আপনার সঙ্গে স্যান্ড্রিংহামে থাকতে পছন্দ করি। আমি গতকাল সকালে সামনের একটি দাঁত হারিয়ে ফেলেছি।’ চিঠিটির শেষে লেখা- ‘লিলিবেটের পক্ষ থেকে ভালবাসা।’

প্রিন্স হ্যারি ও সাসেক্সের ডাচেস মেগান ২০২১ সালে তাদের মেয়ের নাম লিলিবেট ডায়ানা রাখার পরে রানির ডাকনামটি আরও ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

দীর্ঘ দাম্পত্যজীবন

এলিজাবেথ ও তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপ ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক উপভোগ করেছেন। তাদের এই বন্ধনের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে তার চার সন্তানের মধ্যে তিনজন দীর্ঘ বৈবাহিক জীবন কাটান। তারা হলেন- চার্লস, অ্যান ও অ্যান্ড্রু।

রানী তাদের ৫০ তম বিবাহ বার্ষিকীতে ফিলিপ সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘তিনি খুব আন্তরিকভাবে এত বছর ধরে আমার অবলম্বন হয়ে আছেন।’

তাদের গল্প শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ সালে, যখন গ্রিসের ১৮ বছর বয়সী সুদর্শন নৌ ক্যাডেট প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে ১৩ বছর বয়সী এলিজাবেথের দেখা হয় একদিনের জন্য। এর বেশ কয়েক বছর পরে ফিলিপকে ক্রিসমাসে উইন্ডসর ক্যাসেলে রাজপরিবারে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

এই দম্পতি ১৯৪৭ সালে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে বিয়ে করেন।

তার ছেলে অ্যান্ড্রুর মতে, ফিলিপ যখন ২০২১ সালে ৯৯ বছর বয়সে মারা যান, তখন এলিজাবেথ তার জীবনে একটি ‘বিশাল শূন্যতা’ তৈরি হওয়ার কথা বলেছিলেন।

একাধিক জন্মদিন

লিজাবেথ ১৯২৬ সালের ২১শে এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু কবে তার জন্মদিন উদযাপন করা হবে তা জনসাধারণের জন্য কখনও কখনও বিভ্রান্তির বিষয়ে পরিণত হতো। কেননা তার ‘অফিসিয়াল জন্মদিন’ এর জন্য সর্বজনীনভাবে কোনো তারিখ নির্ধারিত ছিল না- এটা জুনের প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শনিবার হতো, তবে কবে উদযাপিত হবে সরকার সেই সিদ্ধান্ত নিত।

এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় তার জন্মদিন জুনের দ্বিতীয় সোমবার উদযাপিত হযতো।

শুধুমাত্র রানী ও তার কাছের মানুষেরা পারিবারিক পরিসরে তার প্রকৃত জন্মদিন উদযাপন করতেন।

অনেকগুলো কর্গির মালিক

এটি সর্বজনবিদিত যে এলিজাবেথ কর্গি (এক ধরনের ছোট জাতের কুকুর) ভালোবাসতেন। এমনকি প্রিন্সেস ডায়ানা এই কুকুরগুলোকে রানির ‘চলন্ত কার্পেট’ বলে অভিহিত করেছেন, কারণ এগুলো তার সঙ্গে সর্বত্র চলাফেরা করতো।

তিনি অনেক বছর ধরে ৩০ টিরও বেশি কর্গির মালিক ছিলেন। তার দুটি ‘ডরগিস’ ছিল-ড্যাচসুন্ড ও কর্গির ক্রস ব্রিড। যাদের নাম ছিল- ক্যান্ডি ও ভলকান।

এলিজাবেথ ১৯৩৬ সালে ১০ বছর বয়সে একটি কুকুরকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছিলেন এবং তার ১৮ তম জন্মদিনে সুসান নামে তাকে একটি কর্গি দেয়া হয়েছিল।

১৯৩৩ সালে স্থানীয় ক্যানেল থেকে ডুকি নামে একটি পুরুষ কর্গি কেনার মধ্য দিয়ে তার বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ রাজপরিবারের সঙ্গে এই প্রাণীর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।

রানি হিসেবে তিনি ব্রিটেনের উন্মুক্ত জলাশয়ের কয়েক হাজার রাজহাঁসের মালিক ছিলেন এবং ১৩২৪ সালের একটি আইন অনুসারে তার সমস্ত স্টার্জন, পোর্পোইজ, তিমি ও ডলফিন দাবি করার অধিকার ছিল।

‘এ প্রিটি নাইস গার্ল’

রানী অনিবার্যভাবে পপ গানের বিষয় হয়ে ওঠে।

দ্য বিটলসের পল ম্যাককার্টনির গাওয়া ‘হার ম্যাজেস্টি’ গানটি সেসময় মানুষের মুখে মুখে ফিরেছিল। রানিকে নিয়ে পল গেয়েছিলেন ‘হার ম্যাজেস্টি এ প্রিটি নাইস গার্ল, বাট শি ডাজেন্ট হ্যাভ আ লট টু সে…’। ১৯৬৯ সালে রেকর্ড করা সংক্ষিপ্ত এই গানটি ‘অ্যাবে রোড’ অ্যালবামের শেষে উপস্থাপন করা হয়েছিল।

তবে তাকে নিয়ে রচিত অন্যান্য গানগুলো অবশ্য এতটা মধুর ছিল না। ১৯৭৭ সালে তার রজত জয়ন্তীর ঠিক আগে প্রকাশিত `দ্য সেক্স পিস্তল’ ব্যান্ডের রাজতন্ত্রবিরোধী ‘গড সেভ দ্য কুইন’ গানটি ব্রিটিশ টেলিভিশনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

- Advertisement -
ফেস দ্যা পিপল লাইভ টক শো উইথ সাইফুর সাগর
Video thumbnail
গুমের শিকার ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার অভিযোগ: ‘প্রধান অভিযুক্ত খু*নি হাসিনা’!
02:25
Video thumbnail
এবার ভারতীয় মিডিয়া রিপাবলিক টিভির ময়ূখকে এক হাত নিলেন ভারতীয় সাংবাদিক দীপক ব্যাপারী
13:50
Video thumbnail
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের উ*গ্র* তা ও ভয়া *বহ হা ম *লা পরিকল্পিত! নেপথ্যে বেরিয়ে আসছে যাদের নাম !
05:15
Video thumbnail
সাদপন্থীদের উ *গ্র *তা ও ভয়া৮*বহ হা *ম *লা পরিকল্পিত
08:00
Video thumbnail
শিক্ষার্থীদের বি ব স্ত্র করে ভিডিও ভাইরাল করার হু*ম*কি দিতো রিভা!
03:59
Video thumbnail
সা’দপন্থীদের হাতে আ'ট'ক আ'ক্র'ম'ণকারীদের ৩০/৪০ জন! আ'ক্র'ম'ণকারীরা আসলে কোন পন্থী?
14:21
Video thumbnail
ইজতেমা ময়দানের সং'ঘ'র্ষে হাসনাত-সারজিসের সম্পৃক্ততা নিয়ে দুই পক্ষ ফেস দ্যা পিপলে যা জানিয়েছে
10:42
Video thumbnail
টঙ্গী তে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত ঘটনার বাস্তবতা বর্নণা করছেন সারজিস আলম।
05:51
Video thumbnail
ইজতেমার মাঠ নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ! প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘে'রাও নিয়ে প্রশ্নের মুখে সা’দপন্থী মুয়াজ নূর
08:16
Video thumbnail
ওবায়দুল কাদের কার প্রটোকলে ছিল? ভারত নিয়ে চা'ঞ্চ'ল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন মানবাধিকার কর্মী পলাশ
13:23

সর্বশেষ

আমাদের সাথে সংযুক্ত হোন

1,600,000FansLike
428FollowersFollow
1,270,000SubscribersSubscribe