রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের চার নেতার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর রাতে নগরীর মতিহার থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় দুই নেতা বর্তমানে কারাগারে আছেন, বাকি দুজন পলাতক।
এরইমাঝে, মাদক মামলার আসামি হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ নেতার পদ স্থগিত করে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পলাতক আরও দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কারাগারে থাকা দুই নেতার পদ স্থগিত করে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
যে দুই নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহীদ শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক আরিফ বিন সিদ্দিক এবং ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী ও জিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম।
পলাতক দুজন হলেন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ও শের ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ।
এই দুজনকে সংগঠনের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দুই কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডি নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। তাদের সঙ্গে পুলিশও ছিল। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন শেখ রাসেল স্কুলের পশ্চিম পাশে বসে কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদক সেবন করছিলেন। এ সময় ৩২৫ গ্রাম গাঁজাসহ চারজনকে আটক করে প্রক্টর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়।
ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে সেখান থেকে দুই শিক্ষার্থী পালিয়ে যান। পরে সন্ধ্যায় নগরের মতিহার থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মতিহার থানার ওসি আনোয়ার আলী বলেন, এই মামলার দুই আসামি পলাতক আছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বাকি দুইজন কারাগারে আছেন।