রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে সাইকেল চুরির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন একজন ছাত্রলীগ নেতা। অভিযুক্ত এই নেতা একই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইখুল ইসলাম মামুন জিয়াদ।
অভিযুক্ত সেই ছাত্রলীগ নেতার নাম আব্দুল্লাহ আল মারুফ। তিনি বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বঙ্গবন্ধু হল থেকে দুটি সাইকেল চুরি হয়। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে খৈয়ম আলী নামের একজন শিক্ষার্থী হল প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে হল প্রশাসন ফটকে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে।
ফুটেজে দেখা যায়, ছাত্রলীগ নেতা মারুফ ও তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরিফুল নামের আরেক শিক্ষার্থী দুটি সাইকেল রিকশায় করে নিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনাটি জানাজানির পর এ নিয়ে হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে হল প্রশাসন মারুফকে হল থেকে চলে যেতে বলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মারুফ বঙ্গবন্ধু হলের ২১২ নম্বর কক্ষে থাকতেন। হলের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ভাষ্যমতে মারুফ মাদকাসক্ত এবং তার বিরুদ্ধে এর আগে মোবাইল চুরিরও অভিযোগ রয়েছে। আর তার সহযোগী আরিফুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে মেসে থাকেন।
তবে হল প্রশাসনের জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি দাবি করেন, সাইকেলটি তার বড় ভাইয়ের। কোন বড় ভাইয়ের, তা তিনি জানাতে পারেননি।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইখুল ইসলাম মামুন জিয়াদ বলেন, মারুফ তার সহযোগীসহ দুটি সাইকেল হল থেকে বের করেছেন। একজন শিক্ষার্থী তাকে জানিয়েছিলেন যে তার সাইকেল চুরি হয়েছে। পরে সিসিটিভি ফুটেজে মারুফসহ আরেকজনকে দেখা যায়। এ নিয়ে হলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
তিনি বলেন, আমরা ওই শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করেছি। এমন কর্মকাণ্ড যেন হলে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সতর্ক থাকবো।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, সাইকেল চুরির বিষয়টি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত করেছেন হল প্রভোস্ট। এরই মধ্যে তাকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে।ছাত্রলীগ কখনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না।
আমরা যদি যথাযথ প্রমাণ পাই তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ করবো, জানান রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।