রাবি প্রতিনিধি
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি ক্যাম্পাস যার রাজনৈতিক সংস্কৃতি অন্যান্য সকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে একটি বিশেষ সংগঠন দুই-তিনটা লেয়ারে তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। এমনকি মেয়েদের হল প্রাধ্যক্ষরা ইসলামী ছাত্রী সংস্থা করার জন্য শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত ১১টার পরে হলে ফেরায় জুলাই ৩৬ হলের ৯১ ছাত্রীকে প্রাধ্যক্ষের অফিসে তলব করে নোটিশ দেয় হল কর্তৃপক্ষ। ফেসবুকে এ-সংক্রান্ত একটি ফটোকার্ডে শাহ মখদুম হল ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমানের আইডি থেকে ছাত্রীদের ‘এগুলো ছাত্রী নয়, এগুলো বিনা পারিশ্রমিক যৌনকর্মী’ বলে মন্তব্য করা হয়। তারই প্রতিবাদে অভিযুক্ত সেই নেতার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ছাত্রদল।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রদল নেতার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তার কাছে আমরা কোনো সদুত্তর পাইনি। তাই আমরা মনে করছি, এঘটনার সাথে সে সরাসরি জড়িত। ফলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার প্রাথমিক পদ বাতিলসহ আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে। একইসাথে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল মামলাও করেছে। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আনার জন্য প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। আমরা চাই না আমাদের বোনরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হোক এবং তা নিয়ে কেউ অপরাজনীতি করুক।’
ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনার বিষয়ে ছাত্রদলের সকলকে সতর্ক করে আমান বলেন, ‘কারো দ্বারা যদি কোনো নারী শিক্ষার্থী সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়, প্রত্যকের পরিণতি একইরকম হবে। এমনকি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতিও যদি এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, সে বহিষ্কার হবে এবং তার বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, অপরাধী যে পরিচয়ের হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে এবং আমাদের বোনদের পক্ষে ছাত্রদল সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। শেষ ইভটিজার পর্যন্ত আমরা এ সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বামদের মধ্যেও শিবির ঢুকে পড়েছে। সে অন্যান্য সংগঠনে পদ নিবে, কিন্তু আসলে সে শিবিরের নেতা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বট’ আইডি সম্পর্কে আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘বাংলাদেশে যত জনসংখ্যা আছে তার চেয়েও শিবিরের বট আইডির সংখ্যা বেশি।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী, সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুলসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।