খানিক আগেই আসিথার বলে ছিল এলবিডব্লিউর আবেদন। তাতে আম্পায়ার সাড়াও দেন। কিন্তু রিভিউতে বেঁচে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। প্যাডে লাগার আগে বল স্পর্শ করেছিল শান্তর ব্যাট। সেই সুবাদেই টিকে যান তিনি। কিন্তু দ্বিতীয়বার পাওয়া জীবনটা কাজে লাগানো হয়নি। ড্যাডি সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতেই আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আসিথার ফুল লেন্থের বলটাকে সামনে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন। তবে ব্যাটের ফেইসে লেগে তা চলে যায় মিড অনের দিকে। সামনে ঝাঁপিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ১৪৮ রানে থামতে হয় শান্তকে। ভাঙে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তার ২৬৪ রানের জুটি।
এই আউটের পর শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ এবং চতুর্থ উইকেটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ডও আক্ষত থাকছে। টেস্টে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এখন মুশফিক আর শান্তর দখলে। সর্বোচ্চটা ছিল হাতের নাগালেই। ২০১৮ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিকই মুমিনুল হককে নিয়ে করেছিলেন ২৬৬ রান। ২ রানের জন্য হলো না সেই রেকর্ড স্পর্শ করা।
এছাড়া শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের এর চেয়ে বড় জুটিও ভাঙা হয়নি শান্ত-মুশফিকের। ২০১৩ সালে গলে পঞ্চম উইকেটে আশরাফুলের সঙ্গে করেছিলেন ২৬৭ রানের পার্টনারশিপ। সেটা থেকে ৩ রান দূরে থামল শান্ত-মুশফিক জুটি।
গল টেস্টে ২য় দিনের শুরুটা তাই বাংলাদেশের জন্য খানিক মন খারাপেরই বটে।