ইতিহাস বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে কেউ ২০০ রান করে হারেনি। কিন্তু সেই ইতিহাস এবার ভেঙে গেল বাংলাদেশ দলের হাত ধরেই। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০৫ রান করেও জয়ের মুখ দেখেনি লিটন দাসের দল। রেকর্ড রান তাড়া করে দারুণ এক জয় তুলে নেয় স্বাগতিক আমিরাত। এই জয়ে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে হারাল তারা।
ম্যাচ শেষে হতাশা লুকাতে পারেননি অধিনায়ক লিটন দাস। বলেন, ‘যে কোনো হারই কষ্টের, তবে এই ম্যাচটা বিশেষভাবে হতাশাজনক। আমরা ব্যাট হাতে ভালো স্কোর করেছি। উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক, তবে দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির আমাদের বিপক্ষে গিয়েছিল।’
তবে কেবল শিশির নয়, স্বীকারোক্তি এসেছে আরও বড় একটি সমস্যার—পরিকল্পনার ঘাটতি। লিটন বলেন, ‘এ ধরনের মাঠে, যেখানে বাউন্ডারি ছোট এবং শিশির একটা বড় ফ্যাক্টর, সেখানে স্পষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া জেতা কঠিন। আমাদের মাঝের ওভারে বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভুল হয়েছে।’
প্রথম ম্যাচে নজর কাড়া পারফরম্যান্সের পর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রত্যাশার চাপ ছিল তরুণ পেসার নাহিদ রানার ওপর। কিন্তু শেষ ওভারে তাঁর ব্যর্থতা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। অধিনায়ক লিটন জানালেন, ‘রানা এর আগ পর্যন্ত যেভাবে বল করেছে, আমরা তার ওপর ভরসা রেখেছিলাম। তবে শেষ ওভারে আমরা যা চেয়েছিলাম, সেটা পাইনি। তবে খারাপ দিন হতেই পারে। আমরা বসে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী ম্যাচে আরও ভালোভাবে ফিরব।’
নিজের ইনিংস নিয়েও আত্মবিশ্লেষণ করেছেন লিটন। ৩২ বলে ৪০ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি গতি পায়নি—সে কথা মানছেন তিনিও। ‘আমার ইনিংস আপ টু দ্য মার্ক ছিল না, তবে আমি সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছি। আশা করি, পরবর্তী ম্যাচে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব।’