রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় সমাধান না পেয়ে এবার রেললাইনে অগ্নিসংযোগ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে চাপাইনবাবগঞ্জ ছাড়া বাকি সব জেলার সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ রোববার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ সংলগ্ন রেললাইনে অগ্নিসংযোগ করে শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকালের ঘটনায় আমরা এখনো কোনো সুষ্ঠু সমাধান পায়নি। আমার ভাইয়েরা রক্তাক্ত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি আছে। আর এদিকে আমাদের প্রশাসন ঘুমন্ত অবস্থায় রয়েছে। আমরা এমন প্রশাসন চাই না। তাদেরকে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। আমাদের দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
রাজশাহী রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক আব্দুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা রেললাইনে দুটি পয়েন্টে গাছের গুঁড়ি রেখে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে রাজশাহী ঢুকতে পারছে না মধুমতি এক্সপ্রেস। ট্রেনটি, আগের হরিয়ান স্টেশনে আটকে আছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া, রাত সোয়া ৯টায় বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস রাজশাহী ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি এখনো রাজশাহী স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে।
রাত ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেটি যাওয়া নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন স্টেশন ব্যবস্থাপক।
গতকাল বগুড়া থেকে যাত্রীবাহী বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। বাসে আসনে বসাকে কেন্দ্র করে তাঁর সঙ্গে বাসের চালক ও হেলপারের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকে পৌঁছালে তাঁদের সঙ্গে আবার বাগ্বিতণ্ডা জড়ান ওই শিক্ষার্থী। এ সময় স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ওই দোকানদারের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। তখন শিক্ষার্থীরাও তাঁদের পাল্টা ধাওয়া দেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী আহতের পর আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে গাছের গুড়ি ফেলে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীরা।