ঈদুল আজহা উপলক্ষে অগ্রিম টিকিটের যে চাহিদা তা পুরণে রেলওয়ের সক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, গত ঈদে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেয়েছেন এমন মানুষ পাওয়া না গেলেও এবার এমন এক-দুজন পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার সকালে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রলি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। রেলযাত্রীদের সুবিধার্থে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনকে ৫০টি ট্রলি দেয় ইসলামী ব্যাংক। অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঈদ সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। টিকিটপ্রত্যাশীদের অনেকের অভিযোগ, অনলাইনে টিকিট পাওয়াই যাচ্ছে না। অনলাইনে না পেয়ে তারা রেলওয়ে স্টেশনে আসছেন
আবার টিকেট পেতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টা লাইনে থাকতে হচ্ছে। অনলাইন ছাড়াও সরাসরি রেল স্টেশনে এসেও টিকিট না পাওয়ার বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, এসব স্বাভাবিক বিষয়। পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে
নুরুল ইসলাম সুজন জানান, টিকিট প্রাপ্তি সহজ করতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৭টি জায়গা থেকে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না, এটাই স্বাভাবিক। কারণ, ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে রিপোর্ট হয়েছে যে মাত্র ৬ হাজার টিকিটের জন্য প্রায় ২ লাখ লোক স্টেশনে এসেছে।
তিনি বলেন, টিকিটের যে চাহিদা তা পূরণে আমাদের সক্ষমতা নেই। এই পরিস্থিতি আমাদের মেনে নিতে হবে। তবে পরিস্থিতি উন্নতির জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়ে (বিআর) প্রতিদিন আন্তঃনগর ট্রেনের প্রায় ২৭ থেকে ২৮ হাজার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ কাউন্টার থেকে এবং বাকী ৫০ শতাংশ ওয়েবসাইট ও অ্যাপ থেকে বিক্রি করা হয়।