ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। বিশ্বকাপ খেলতে কাতারে আসার আগে থেকেই বিতর্ক তার ছায়াসঙ্গী! ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরার স্মৃতি সুখকর হয়নি রোনালদীর। এরিক টন হাগের অধীনে একাধিকবার সমস্যায় পড়েছেন। কখনো আগে,মাঠ ছেড়ে, কখনো রাগ দেখিয়ে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো রীতিমতো বোমাই ফাটিয়েছেন। যার জন্য ম্যানইউ চুক্তি ছিন্ন করে সিআর সেভেনের সঙ্গে। ক্লাবের বাজে ফর্ম এসেছে বিশ্বকাপেও। পুরো বিশ্বকাপে তার গোল মোটে একটি। রাইভাল মেসি যেখানে আলো ছড়াচ্ছেন নিজের মতো, সেখানে রোনালদো অনেকটাই নিষ্প্রভ।
আর ঠিক একারণেই হয়ত নকআউট পর্বে রোনালদোকে দলে চাননা ৭০ শতাংশ পর্তুগিজ সমর্থকই!
৭ ডিসেম্বর পর্তুগাল খেলবে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। সুইসদের হারালেই রোনাল্ডোরা পৌঁছে যাবেন শেষ আটে।
তবে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে রোনাল্ডো যেন প্রথম একাদশে না থাকেন! ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৭০ শতাংশ চাইছেন এমনটাই। মাত্র ৩০ শতাংশ নেটিজেনদেরই আস্থা সিআরসেভেনের প্রতি।
পর্তুগিজ নিউজ আউটলেট এ বোলা দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপ অনুসারে, পর্তুগাল সমর্থকদের একটি বড় অংশই চান রোনালদো বিশ্রামে থাকুন।
ওয়েবসাইটে সমীক্ষায় ভক্তদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে মঙ্গলবার সুইসের বিরুদ্ধে নকআউট খেলার জন্য ফার্নান্দো সান্তোসের শুরুর দলে রোনালদোর জায়গা রাখা উচিত কিনা। ফলাফলে বলা হয়েছে, মাত্র ৩০ শতাংশ সমর্থক রোনালদোর পক্ষে সাড়া দিয়েছেন। অন্য ৭০ ভাগ বিশ্বাস করেন যে ৩৭ বছর বয়সীকে শেষ ১৬ এর খেলার জন্য বাদ দেওয়া উচিত।
রোনালদোর ফর্মের বাইরে থাকার বিষয়ে একমত জনপ্রিয় ফুটবল রেটিং ওয়েবসাইট সোফাস্কোর। এই স্পোর্টস অ্যানালাইসিস ওয়েবসাইট বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বাজে পারফরম্যান্সকারী খেলোয়াড়দের পূর্ণ একটি দলের নাম দিয়েছে এবং দুই স্ট্রাইকারের একজন হিসেবে তাতে জায়গা পেয়েছেন রোনালদো। তিনটি খেলায় তার পারফরম্যান্সের জন্য প্ল্যাটফর্মে রোনালদোর রেটিং ছিল মাত্র ৬.৩৭।