রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক ও দায়িত্বশীল নীতির জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত।
ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতি প্রোগ্রাম আয়োজিত ‘রোহিঙ্গাস: ভিকটিমস অব জেনোসাইড অ্যান্ড লুকিং ফর অ্যানসার্স’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জোরালো ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান বক্তারা।
চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সাবেক প্রধান মুন্সী ফয়েজ আহমদ বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট কাটিয়ে উঠতে মিয়ানমারের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করতে হবে। বিশ্ব শান্তির কথা বিবেচনা করে দীর্ঘমেয়াদি ফলাফলের জন্য রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পুনর্বাসিত করতে হবে।’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে শেখ হাসিনার দেয়া পাঁচ দফা প্রস্তাবের গুরুত্বও তুলে ধরেন ফয়েজ।
ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের অধ্যাপক ও উদ্যোক্তা অর্থনীতি কর্মসূচির সমন্বয়কারী মুহাম্মদ মাহবুব আলী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ সঠিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের জন্য ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স-এ মাস্টার্স অব এন্টারপ্রেনারশিপ ইকোনমিক্স বা স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ইন অন্ট্রাপ্রেনারশিপ ইকোনমিক্সে ভর্তি হওয়ার আহ্বান জানান।