বাংলাদেশ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ হয়ে এ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ হাজার রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত হয়েছেন। মানবিক কারণে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুর্নবাসন করা হলেও তৃতীয় কোনো দেশে রোহিঙ্গাদের পাঠানো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়।
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক শরণার্থীবিষয়ক সমন্বয়কারী ম্যাকেঞ্জি রো ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দেখভালে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য বাস্তুচ্যুত জাতিগোষ্ঠী নিরাপদে নিজ ভূমিতে ফেরত যেতে পারে, সে জন্য মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আঞ্চলিক দেশগুলো ও জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাকেঞ্জি রো বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত হয় এমন যে কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে। মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার দিক থেকে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২৪০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৯০ কোটি ডলার এসেছে বাংলাদেশে।
মার্কিন দূতাবাসের রিজিওনাল রিফিউজি কো-অর্ডিনেটর জানান, আঞ্চলিকভাবে ১২ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রের পুনর্বাসিত হলেও মানবিক সংকটের সমাধান হিসেবে এটি কোনো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া নয়। আগামী সেপ্টেম্বরে আমাদের রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের নতুন সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
মানবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের দেওয়া সহায়তা তাদের কাছে পৌঁছাক, যাদের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। আর এসব বিষয়ে সমাধানে আমরা অংশীদারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কাজ করছি।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের একটি অপরিহার্য ভিত্তি হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি নিশ্চিত করা।