মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজার লং বিচ হোটেলের বলরুমে ‘নবজাগরণ : ‘অপরাধকে না বলুন’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আজ মধ্য আয়ের দেশে। শুধু তাই নয় বিশ্বের অনেক দেশ আজকে বাংলাদেশকে রুল মডেল হিসেবে ধরে রাখেন। সম্প্রতি ভারত সফরে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এমন প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, জঙ্গী দমনে র্যাব পুলিশ একযযোগে কাজ করেছে। তাই সফলতা এসেছে। শুধু জঙ্গী দমন নয় দেশের সব ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। বিশেষ করে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়াদের বিরুদ্ধে। নানাভাবে যারা এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে তাদের নিয়েই এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
প্রশিক্ষণের পর তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে এসময় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল কামরুল হাসান, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য জাফর আলম, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ব লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার, পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
গেল ২৯ আগস্ট ১৫ দিনব্যাপী এই কর্মশালা শুরু হয়েছিল। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে অপরাধ রোধে র্যাব ফোর্সেস ১৫ দিনব্যাপী “নবজাগরণ : অপরাধকে না বলুন” কর্মশালার আয়োজন করে। এতে ১০ জন নারীসহ অংশ নেয় ৩৬ জন প্রশিক্ষাণার্থী। তাদের ১৫ জন প্রশিক্ষক ৬টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। বিষয় সমূহ হলো-সেলাই, ড্রাইভিং, ফটোগ্রাফি, ট্যুরিস্ট গাইড, সার্ফিং ও হোটেল মোটেল রেস্তোরাঁয় বয় এবং হাউজ কিপিং। শেষে তাদের সনদ ছাড়াও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।